 
                                                                        
                                    পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে ‘২০২৪ ওয়াইআর-৪’ নামের এক গ্রহাণু, যা ২০৩২ সালের ডিসেম্বর মাসে পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে অতিক্রম করবে বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা (ইএসএ)। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, এর পৃথিবীতে আঘাত হানার সম্ভাবনা এখন ৩.১ শতাংশে পৌঁছেছে, যা আগে ছিল মাত্র ১.২ শতাংশ। কালের বিবর্তনে এই সম্ভাবনা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানিরা।
নাসার ক্যাটালিনা স্কাই সার্ভের ইঞ্জিনিয়ার ডেভিড র্যাঙ্কিন জানান, গ্রহাণুটি দক্ষিণ আমেরিকা, দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার কিছু অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ইথিওপিয়া, সুদান, নাইজেরিয়া ও ভেনেজুয়েলা।
‘২০২৪ ওয়াইআর-৪’-এর ব্যাস ১৩০ থেকে ৩০০ ফুটের মধ্যে এবং এটি বর্তমানে টরিনো স্কেলে ৩ নম্বর হুমকি পর্যায়ে আছে— যা ২০০৪ সালের ‘অ্যাপোফিস’-এর পর সবচেয়ে বড় সম্ভাব্য বিপদ। বিজ্ঞানীদের মতে, এটি পৃথিবীতে আঘাত হানলে প্রায় ৮ মিলিয়ন টন টিএনটির সমান শক্তিতে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে— যা হিরোশিমার বোমার চেয়ে ৫০০ গুণ বেশি।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। জাতিসংঘ ইতিমধ্যেই ‘প্ল্যানেটারি ডিফেন্স প্রটোকল’ সক্রিয় করেছে, আর প্রয়োজনে নাসা ‘কাইনেটিক ইমপ্যাক্ট’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রহাণুর গতিপথ পরিবর্তনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মন্তব্য করুন: