নেপালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী ও তরুণ প্রজন্মের বিক্ষোভ চরম আকার ধারণ করেছে। রাজধানী কাঠমান্ডুসহ ললিতপুর ও ভক্তপুরে সংঘর্ষের পর মঙ্গলবার কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করে।
যদিও সোমবার রাতেই প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি নেতৃত্বাধীন সরকার ২৬টি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে।
কাঠমান্ডু জেলা প্রশাসন রিং রোডের ভেতরে চলাচল, জমায়েত ও মিছিল নিষিদ্ধ করেছে। একইভাবে ললিতপুরে সকাল ৯টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এবং ভক্তপুরে সকাল ৮টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ কার্যকর করা হয়েছে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুং ঘোষণা করেন, নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে এবং বিক্ষোভকারীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান। সহিংসতা তদন্তে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
প্রতিবাদে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে কমপক্ষে ২০ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন। এতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও পদত্যাগের দাবি উঠেছে।
মন্তব্য করুন: