 
                                                                        
                                    নাইজেরিয়ায় চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে লাসা জ্বরে ১১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, জানিয়েছে দেশটির সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন (এনসিডিসি) ।
ইদুর জাতীয় তীক্ষ্ণদন্তী প্রাণীদের মাল বা প্রসাবের মাধ্যমে ছড়ানো এই ভাইরাস ১৯৬৯ সালে নাইজেরিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বোর্নোতে প্রথম শনাক্ত হয়েছিল। বছরের পর বছর ধরে এই ভাইরাস হাজার হাজার মানুষের প্রাণ নিয়েছে। বিশেষ করে দেশটির গ্রামীণ এলাকাগুলোতে, যেখানে খাবার সংরক্ষণে স্বাস্থ্যকর ব্যবস্থার ঘাটতি রয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, কীভাবে এই রোগ প্রতিরোধ করতে হবে তা নিয়ে বছরের পর বছর প্রচারণা চালানোর পরও নাইজেরিয়ার দরিদ্র গ্রামীণ এলাকাগুলোতে পরিবেশগত স্বাস্থ্যবিধির তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নতি হয়নি যা ইদুরদের মানুষের ঘরবাড়িতে প্রবেশ করে খাদ্য ও বাসনপত্রের মধ্যে চলাচল থেকে বিরত রাখতে পারে।
সোমবার এক বিবৃতিতে এনসিডিসির মহাপরিচালক জিদে ইদ্রিস জানিয়েছেন, জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে লাসা জ্বরে আক্রান্ত মোট ৬৪৫ জন শনাক্ত হয় আর ১১৮ জনের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর হার ১৮ দশমিক ৩ শতাংশ।
নাইজেরিয়া সম্প্রতি বছরের প্রতি তিন মাসে লাসা জ্বরে প্রায় ১০০ মৃত্যু নথিবদ্ধ করছে।
ইদ্রিস জানিয়েছেন, দেশটির ৩৩টি রাজ্যে লাসা জ্বরের প্রকোপ দেখা গেছে। সম্প্রতি এসব রাজ্যের পাঁচটিতে ২০ জনেরও বেশি স্বাস্থ্যকর্মী ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন।
তিনি জানান, চিকিৎসা কেন্দ্রগুলো কর্মী সংকটে ভুগছে আর অনেক রোগী নিজে নিজে ডাক্তারি করাসহ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অকার্যকর বিভিন্ন অপ্রচলিত চর্চার মধ্য দিয়ে গিয়ে সঠিক চিকিৎসা নিতে দেরি করছেন।
সূত্র: বিডিনিউজ২৪
মন্তব্য করুন: