প্রধান রাজনৈতিক দল ভেঙে দেওয়া, বিরোধী নেতাদের কারাবন্দী করা এবং দেশজুড়ে চলমান গৃহযুদ্ধের বাস্তবতায় মিয়ানমারে তিন ধাপের নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। তবে এই নির্বাচনে দেশের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ ভোট দিতে পারেননি বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভোট হচ্ছে কেবল সেনা নিয়ন্ত্রিত এলাকায় এবং ফলাফল কার্যত পূর্বনির্ধারিত।
২০২১ সালে ক্ষমতা দখল করা সামরিক জান্তা ৪০টি রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করেছে, যার মধ্যে অং সান সু চির এনএলডিও রয়েছে। নতুন আইনে সমালোচনা নিষিদ্ধ হওয়ায় শতাধিক মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বড় শহর ইয়াঙ্গুন ও মান্দালয়ে ভোটার উপস্থিতি ছিল খুবই কম।
বিশ্লেষকদের মতে, এই নির্বাচন মূলত আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও বৈধতার ভাবমূর্তি তৈরির চেষ্টা। প্রতিবেশী চীনের চাপও এতে ভূমিকা রেখেছে। সেনাবাহিনী-ঘনিষ্ঠ ইউএসডিপি সবচেয়ে বড় দল হিসেবে উঠে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পশ্চিমা দেশগুলো নির্বাচনকে ভুয়া বলে নিন্দা করলেও জান্তা এটিকে ‘অগ্রগতি’ হিসেবে তুলে ধরছে। বিরোধী পক্ষের বড় অংশ নির্বাচন বর্জন করেছে।
মন্তব্য করুন: