রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে গোপন কূটনৈতিক উদ্যোগ নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, এ উদ্যোগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্পেশাল এভোকেট স্টিভ উইটকফ, যিনি সরাসরি রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।
মূল লক্ষ্য হলো যুদ্ধের সমাপ্তি, ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নির্ধারণ এবং ইউরোপের সামগ্রিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা।
প্রতিবেদন বলছে, প্রস্তাবিত পরিকল্পনায় রয়েছে ২৮ দফার একটি রোডম্যাপ। এতে যুদ্ধোত্তর নিরাপত্তা কাঠামো, সীমান্ত রক্ষা, পশ্চিমা সামরিক সহায়তার ভবিষ্যৎ রূপ এবং রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র–ইউরোপের সম্পর্ক পুনর্গঠনের সম্ভাব্য নীতিমালা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। যদিও পুরো বিবরণ গোপন, তবে বৈঠকগুলোর গোপনীয়তা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে বিষয়টি অত্যন্ত উচ্চ-ঝুঁকির এবং কৌশলগতভাবে সংবেদনশীল।
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই প্রচেষ্টা সফল হলে ইউরোপের ভূরাজনৈতিক অবস্থানে বড় পরিবর্তন আসতে পারে। যুদ্ধ বন্ধ হওয়া যেমন সমগ্র অঞ্চলের স্থিতিশীলতা বাড়াতে পারে, তেমনই একটি সম্ভাব্য চুক্তি যুক্তরাষ্ট্র–রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র–ইউক্রেন সম্পর্কের নতুন অধ্যায় রচনা করতে পারে। তবে শান্তি আলোচনার যেকোনো প্রস্তাবই বাস্তবায়নে সময়সাপেক্ষ, কারণ উভয় পক্ষের রাজনৈতিক অবস্থান এখনও কঠোর ও পরস্পরবিরোধী।
মন্তব্য করুন: