জেফরি এপস্টেইন–সম্পর্কিত গোপন নথি প্রকাশে রিপাবলিকানদের মধ্যে যে বিভাজন তৈরি হয়েছিল, সেখানে শেষ মুহূর্তে নাটকীয়ভাবে অবস্থান বদলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চলতি সপ্তাহে ট্রাম্প নিজ দলকে নথি প্রকাশে বাধা দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। তবে রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, তার “লুকোনোর কিছু নেই”, তাই নথি প্রকাশ হওয়া উচিত।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের অনেকে বিলটির পক্ষে ভোট দিতে প্রস্তুত ছিলেন। ঠিক সেই সময় হঠাৎ ট্রাম্প দাবি করেন, ডেমোক্র্যাটরা এপস্টেইনের নথিকে “রাজনৈতিক প্রতারণা” হিসেবে ব্যবহার করছে এবং রিপাবলিকানদের সাফল্য থেকে দৃষ্টি সরাতে এই বিতর্ক উসকে দিচ্ছে। তিনি বলেন, এখন বিষয়টি থেকে সরার সময় এসেছে।
এই ইস্যু রিপাবলিকানদের অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েন বাড়িয়েছে। জর্জিয়ার মার্জোরি টেলর গ্রিনের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্কেও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। অবস্থান বদলের কয়েক মিনিট পরই ট্রাম্প তাকে আক্রমণ করেন, আর গ্রিন অভিযোগ করেন, ট্রাম্পের মন্তব্যের কারণে তার ওপর হুমকি বেড়েছে।
এদিকে কংগ্রেসম্যান টমাস মসি বলেন, ট্রাম্প আপত্তি করলেও ১০০–এর বেশি রিপাবলিকান নথি প্রকাশের পক্ষে ভোট দিতে পারেন। স্পিকার মাইক জনসনও বলেন, নথি প্রকাশে তাদের পর্যাপ্ত ভোট থাকবে।
এর মধ্যে এপস্টেইনের ২০ হাজারের বেশি ইমেইল প্রকাশ পেয়ে বিতর্ক আরও জটিল হয়েছে। এক ইমেইলে ট্রাম্পের এপস্টেইনের বাড়িতে সময় কাটানোর দাবি করা হলেও ট্রাম্প এটিকে “প্রতারণা” বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। বিচার বিভাগ কখন নথি প্রকাশ করবে, তা এখনও নির্ধারণ হয়নি।
মন্তব্য করুন: