[email protected] শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

মৃত ভেবে ৮ ঘণ্টা হিমঘরে ফেলে রাখা মেয়েটি যেভাবে বেঁচে ফিরল

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০২৫ ১৯:১১ পিএম

ছবি : সংগৃহীত

গাজার ১২ বছর বয়সী রাঘাদ আল–আসারের জীবন যেন এক অলৌকিক বেঁচে থাকার গল্প। গত বছর ইসরায়েলের হামলায় তাঁর দুই বোন নিহত হন এবং পরিবারের সবাই আহত হন। অচেতন অবস্থায় রাঘাদকেও মৃত ভেবে দুই বোনের সঙ্গে মর্গে পাঠানো হয়। হিমঘরে তাঁর দেহ প্রায় আট ঘণ্টা পড়ে ছিল। এক ফিলিস্তিনি বাবা মর্গে নিজের সন্তানকে খুঁজতে গিয়ে রাঘাদের আঙুল নড়তে দেখে তাকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেন।

দুই সপ্তাহ কোমায় থাকার পর জেগে উঠে রাঘাদ জানতে পারে যে তাকে মৃত ভেবে রেফ্রিজারেটরে রাখা হয়েছিল। এখনো সে দুঃস্বপ্ন দেখে, আতঙ্কে কাঁপে, যুদ্ধের শব্দ শুনলে অচেতন হয়ে পড়ে। তার এক বোন গুরুতর আহত, এক চোখে দেখতে পায় না, শরীর পুড়ে গেছে।

রাঘাদের বাবা মোহাম্মদ জানান, “ওই ঘটনার পর আমার মেয়েটা পুরোপুরি বদলে গেছে। হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়ে।” পরিবার আশা করছে, রাঘাদ ও তার বোনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া যাবে।

গাজায় দুই বছরের যুদ্ধ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। হাসপাতালগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে, অধিকাংশ চিকিৎসক নিহত, চিকিৎসা কার্যত অচল। জাতিসংঘ বলেছে গাজায় জাতিহত্যা হয়েছে। ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ৬৪ হাজার শিশু নিহত বা পঙ্গু হয়েছে। ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৬৯ হাজার ছাড়িয়েছে, আহত হয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি।

রাঘাদ আল–জাজিরাকে বলেছে, “আমি যুদ্ধের শব্দ চাই না। আমি বিদেশে চিকিৎসা পেতে চাই, অন্য শিশুদের মতো বেঁচে থাকতে চাই।”

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর