যুক্তরাষ্ট্র গাজায় বিকল্প নিরাপদ সম্প্রদায় হিসেবে বাছাই করা ফিলিস্তিনিদের জন্য অস্থায়ী বসতি নির্মাণের পরিকল্পনা ভাবছে, যা ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুসারে ‘হলুদ রেখা’ পেরিয়ে খোলা এলাকায় স্থাপন করা হবে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য আটলান্টিকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব বসতিতে প্রবেশের আগেই ফিলিস্তিনিদের ‘স্ক্রিনিং’ বা বাছাইয়ের মাধ্যমে হামাসবিরোধী মনোভাব প্রমাণ করতে হবে। পরিকল্পনায় প্রতিটি বসতির জন্য একটি চিকিৎসাকেন্দ্র, একটি স্কুল, প্রশাসনিক ভবন ও সহায়তামুলক চিহ্নিত করা হয়েছে; শুরুতেই জনসংখ্যা ধরা হয়েছিল প্রায় ২৫ হাজার, পরে তা কয়েকদফায় কমিয়ে প্রস্তাব হয়েছে প্রায় ৬ হাজার নাগরিক পর্যন্ত।
প্রস্তাবটি যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল প্যাট্রিক ফ্র্যাঙ্কের ই-মেইল থেকে আসে বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে। একই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিন বেতের মতো ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা যাচাই-বাছাইয়ে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে এবং পরিবারের সম্পর্কও দেখা হবে। প্রথম বসতিগুলোর মধ্যে একটি রাফাহ অঞ্চলে স্থাপনের কথা বলা হচ্ছে, যা মিসর সীমান্তের নিকট।
এই পরিকল্পনাকে কিছু আরব ও ইউরোপীয় কূটনীতিক গুরুত্ব দিচ্ছে, তবে অনেকেই উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন; তারা আশঙ্কা করছেন এটা গাজার কিছু অংশ স্থায়ীভাবে দখলের প্রাথমিক ধাপ হতে পারে। অর্থায়নের প্রশ্নে স্পষ্টতা নেই—ট্রম্প প্রশাসন সরকারি তহবিল গ্যারান্টি দেয়নি এবং পুনর্গঠনে প্রয়োজনীয় বিপুল অর্থের দাবি ওঠে। প্রথম ধাক্কার কাজগুলোর জন্য টেট্রা টেক সল্যুশনসকে নিয়োজিত করার খবরও রয়েছে, যারা ধ্বংসাবশেষ ও অবিস্ফোরিত অস্ত্র সরাবে।
গাজার ভূমি মালিকানা, প্রবেশের শর্ত, দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক আইনি তদন্তসহ বহু জটিলতা এই প্রস্তাবকে ঘিরে অনিশ্চয়তা রেখে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন: