ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সাম্প্রতিক মন্তব্যে ঢাকায় কূটনৈতিক অঙ্গন বেশ সরগরম হয়ে উঠেছে। তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুসের উচিত তাঁর শব্দচয়ন ও বক্তব্যে সংযত থাকা।
নেটওয়ার্ক ১৮ গ্রুপের প্রধান সম্পাদক রাহুল জোশির সঙ্গে একান্ত আলাপে রাজনাথ সিং এই মন্তব্য করেন, যা প্রকাশের পরই দুই দেশের সম্পর্কে নতুন আলোচনার জন্ম দেয়।
রাজনাথ বলেন, “নয়া দিল্লি বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো উত্তেজনা চায় না, তবে অধ্যাপক ইউনুসের উচিত তিনি কী বলছেন, সে বিষয়ে সতর্ক থাকা।” এই বক্তব্য ঢাকায় পৌঁছাতেই শুরু হয় কূটনৈতিক তরঙ্গ। বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জানায়, রাজনাথ সিংয়ের মন্তব্য ‘ভুল’ এবং ‘কূটনৈতিক শিষ্টাচারবিরোধী’। তাদের মতে, এ ধরনের মন্তব্য দুই দেশের সম্পর্কে ইতিবাচক পরিবেশ তৈরিতে সহায়ক নয়।
তবে ঢাকা শুধু অসন্তোষই প্রকাশ করেনি; বরং ভারসাম্যপূর্ণ সুরে জানিয়েছে, বাংলাদেশ এখনো ভারতের সঙ্গে পারস্পরিক কল্যাণ ও সহযোগিতার সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। অর্থাৎ জবাবটি এসেছে সংযতভাবে, কিন্তু বার্তাটি ছিল স্পষ্ট, ঢাকা চায় না কেউ তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করুক।
এই ঘটনাকে ঘিরে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে একটিই প্রশ্ন, ভারত কি বাংলাদেশে কূটনৈতিকভাবে হস্তক্ষেপ করছে? নাকি এটি কেবল ভুল বোঝাবুঝি? বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের জবাব দৃঢ় হলেও কূটনৈতিক সৌজন্য বজায় রাখা হয়েছে। এখন নজর দুই রাজধানীতে, ঢাকা ও নয়াদিল্লি, যেখানে ভবিষ্যতের সম্পর্ক কোন দিকে মোড় নেবে তা নির্ধারণ করবে আগামী পদক্ষেপগুলোই।
মন্তব্য করুন: