সুদানের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর এল-ফাশারে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে অন্তত দুই হাজার বেসামরিক মানুষকে হত্যা করেছেন ‘আবু লুলু’ নামে পরিচিত র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)–এর এক কমান্ডার।
তিনি এখন পরিচিত ‘এল-ফাশারের কসাই’ নামে। চলমান গৃহযুদ্ধের অংশ হিসেবে আরএসএফ সম্প্রতি উত্তর দারফুরের রাজধানী এল-ফাশার দখল করার পর স্থানীয়দের ওপর এই হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়।
ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে, আবু লুলু ঠান্ডা মাথায় মানুষ হত্যা করছেন, এমনকি টিকটকে সরাসরি সম্প্রচারও করেন। এক লাইভে তিনি বলেন, “আমি ২,০০০ মানুষ হত্যার লক্ষ্য নিয়েছিলাম, হয়তো তার চেয়েও বেশি।” পরে সামাজিক মাধ্যমে এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
আবু লুলুর প্রকৃত নাম আল-ফাতেহ আবদুল্লাহ ইদরিস। তিনি আরএসএফ নেতা হেমেদতির ঘনিষ্ঠজন ও মাহারিয়া রিজেইগাত গোত্রের সদস্য। পারিবারিক প্রভাবের কারণে দ্রুতই তিনি সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে ওঠেন। ইয়েমেনে যুদ্ধ অংশগ্রহণসহ তিনি আরএসএফের গোয়েন্দা শাখায়ও কাজ করেন। ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র তার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
তবে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে আরএসএফ নেতা হেমেদতি সম্প্রতি স্বীকার করেছেন যে এল-ফাশারে ‘কিছু লঙ্ঘন’ ঘটেছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আবু লুলু ও আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যদিও তারা দাবি করেছে, “আবু লুলুর সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।”
মন্তব্য করুন: