গাজায় দুই বছরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে স্বাক্ষরিত শান্তিচুক্তি ইসরায়েলের রাজনীতিতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করলেও প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এখন প্রশ্নের মুখে।
আল জাজিরার বিশ্লেষক নূর ওদেহ জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চাপেই নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতিতে রাজি হন।
বিশ্লেষকদের মতে, নেতানিয়াহু চাইলে আগেই এই সমঝোতায় পৌঁছাতে পারতেন, কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে তা এড়িয়ে যান। যুদ্ধের শুরু থেকে একাধিক শান্তি প্রচেষ্টা ভেস্তে গেছে তার কারণে। এখন যুদ্ধ থেমেছে, বন্দি বিনিময়ের চুক্তি সম্পন্ন হচ্ছে এ অবস্থায় নেতানিয়াহুর নেতৃত্ব চাপে পড়েছে।
জনমত বলছে, যুদ্ধবিরতি সামরিক ব্যর্থতা নয়, বরং রাজনৈতিক চাপের ফল। ট্রাম্পের শান্তিচুক্তি উদ্যোগ তাকে আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত করেছে, বিপরীতে নেতানিয়াহু হারিয়েছেন জনপ্রিয়তা।
এই চুক্তির মাধ্যমে গাজায় চলমান সংঘাতের অবসান এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার একটি নতুন পথ উন্মুক্ত হলো। প্রথম ধাপের সফলতাই নির্ধারণ করবে মধ্যপ্রাচ্যে একটি শক্তিশালী, টেকসই ও চিরস্থায়ী শান্তি কতটা সুদূরপ্রসারী হবে।
মন্তব্য করুন: