নেপালে টানা ভারী বর্ষণের ফলে ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইলাম জেলায় পৃথক ভূমিধসে ১৮ জন এবং বজ্রপাতে দক্ষিণ নেপালে তিনজন মারা গেছেন। উদয়পুরে বন্যায় আরও একজনের মৃত্যু হয়। শনিবার থেকে নিখোঁজ ১১ জনের সন্ধান এখনো মেলেনি।
ভূমিধস ও বন্যায় সেতু ভেঙে পড়েছে, মহাসড়ক বন্ধ হয়ে গেছে এবং শত শত যাত্রী আটকা পড়েছেন। কাঠমান্ডুর মুখপাত্র জানান, অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল ব্যাহত হলেও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট স্বাভাবিক রয়েছে।
কোশি নদীর পানিপ্রবাহ বিপদসীমার ওপরে; ৫৬টি স্লুইস গেট খুলে দিয়েছে প্রশাসন। রাজধানী কাঠমান্ডুর বেশ কয়েকটি নদী উপচে ঘরবাড়ি ও রাস্তা প্লাবিত হয়েছে, শহরটি দেশের অন্যান্য অংশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন।
জুন থেকে সেপ্টেম্বরের বর্ষা মৌসুমে এ ধরনের দুর্যোগ প্রায় প্রতি বছরই ঘটে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন: