বিশ্বজুড়ে নিরাপত্তা পরিস্থিতি দ্রুত বদলাচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধ, প্রযুক্তি প্রতিযোগিতা এবং মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের অভ্যন্তরীণ অনিশ্চয়তা—এই প্রেক্ষাপটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও কানাডা ২৩ জুন ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ইইউ-কানাডা সম্মেলনে উভয় পক্ষ নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
এর মাধ্যমে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, যৌথ অস্ত্র ক্রয় এবং শিল্প নীতিতে এক নতুন যুগের সূচনা ঘটলো। বিশেষ করে ইইউ’র ১৫০(€) বিলিয়ন বাজেটের SAFE কর্মসূচিতে কানাডার অংশগ্রহণের দরজা খুলে গেল।
এই ঐতিহাসিক সম্মেলনে ইউরোপীয় কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তা, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডের লিয়েন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি একসঙ্গে অংশ নেন। চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অনিতা আনন্দ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডেভিড জে ম্যাকগিন্টি এবং ইইউ’র পররাষ্ট্রনীতি প্রধান কাজা কালাস।
কস্তা একে "শুধু প্রতীকী নয়, বরং এক শক্তিশালী রাজনৈতিক বার্তা" হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, “এই চুক্তি ট্রান্সঅ্যাটলান্টিক নিরাপত্তাকে শক্তিশালী করবে, শিল্প সহযোগিতা বাড়াবে এবং ভবিষ্যতের প্রতিরক্ষা চাহিদার জন্য আমাদের প্রস্তুত করবে।”
উরসুলা ফন ডের লিয়েন বলেন, “এই অংশীদারিত্ব একটি বিশাল পদক্ষেপ, যা আমাদের সম্পর্ককে আরও গভীর করবে।” তিনি জানান সিকিউরিটি অ্যাকশন ফর ইউরোপ (SAFE)-এ কানাডার অংশগ্রহণ নিয়ে আলোচনা শীঘ্রই শুরু হবে। একইসঙ্গে পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তি, শিল্প সরবরাহ শৃঙ্খলা এবং স্ট্র্যাটেজিক রিসার্ভ নিয়ে ইউ-কানাডা ইন্ডাস্ট্রিরিয়াল পলিসি ডায়ালগ (Industrial Policy Dialogue) চালু হবে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নিও এই অংশীদারিত্বের প্রশংসা করে বলেন, এটি উভয় দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষমতা জোরদার করবে, যৌথ ক্রয় প্রক্রিয়া গতিশীল করবে এবং শিল্প খাতে স্থিতিশীলতা আনবে। তিনি সেফ ( SAFE) প্রোগ্রামে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে কানাডার প্রবল আগ্রহের কথাও জানান।
সোর্স: ইনকিলাব
মন্তব্য করুন: