গাজার পর এবার পশ্চিমতীরে দখল করে সেখানে ইহুদি ইসরায়েলি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্টজ।
৩০ মে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ইসরায়েল ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীরে ইহুদি ইসরায়েলি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবে।
এর আগে ২৯ মে অধিকৃত পশ্চিমতীরে ফিলিস্তিনি ভূমিতে ২২টি নতুন অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল সরকার।
এর মধ্যে কিছু– তথাকথিত আউটপোস্ট বা সরকারিভাবে অননুমোদিত বসতিকে বৈধতা দেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পথে বড় বাধা বলে আখ্যায়িত করেছে।
এদিকে দখলদার ইসরায়েলের বাধায় ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিমতীরে যেতে পারছেন না সৌদি আরবসহ ছয়টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
১জুন পশ্চিমতীরের রামাল্লায় ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, তুরস্ক, মিসর এবং জর্ডানের মন্ত্রীদের বৈঠকের কথা ছিল। তাদের সঙ্গে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আরব লিগের মহাসচিবেরও থাকার কথা ছিল।
জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করে ৩১ মে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাধার কারণে তাদের বৈঠকটি বাতিল করা হয়েছে।
ইসরায়েলের এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দেশটির সরকারের ঔদ্ধত্য ফুটে উঠেছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে দেশটি।
অধিকৃত পশ্চিমতীরের স্থল ও আকাশপথের নিয়ন্ত্রণ ইসরায়েলের হাতে থাকায় দেশটির অনুমতি ছাড়া কোনো বিদেশির সেখানে যাওয়া সম্ভব নয়।
সোর্স: যুগান্তর
মন্তব্য করুন: