মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদকে (এনএসসি) ব্যাপকভাবে পুনর্গঠন করার উদ্যোগ নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এ প্রক্রিয়ায় শতাধিক কর্মকর্তা হঠাৎ করেই প্রশাসনিক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে, পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা ও সমন্বয় সংস্থার কর্মীদের ছাঁটাই করা হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের একটি সূত্র এই পদক্ষেপকে ‘ডিপ স্টেটকে অচল করার’ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে।
২৩মে প্রকাশিত বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে জানা যায়, ইউক্রেন, ইরান ও ইন্দো-প্যাসিফিকের মতো গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক সংকটস্থল নিয়ে কাজ করা এনএসসি অধিদপ্তরের কর্মীদের প্রায় সবাই নোটিশ না দিয়ে বরখাস্ত করা হয়েছে। কিছু মার্কিন সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ওই কর্মীদের বিকেলে ইমেইল পাঠিয়ে মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে অফিস খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রশাসনের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, এই পুনর্গঠন মূলত আমলাতান্ত্রিক অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপ কমানো এবং সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে বৈদেশিক নীতি নির্ধারণে মনোযোগী হওয়ার লক্ষ্যে গৃহীত কৌশলগত পদক্ষেপ। এই উদ্যোগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করছেন। তিনি ভারপ্রাপ্ত জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্বও বহন করছেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘এনএসসি হচ্ছে ডিপ স্টেটের কেন্দ্রবিন্দু এবং তারা এখন মার্কো বনাম ডিপ স্টেটের যুদ্ধের সাক্ষী। ’
পররাষ্ট্র দপ্তর এবং ইউএসএআইডির কর্মী সংখ্যা কমানোর পেছনে মার্কো রুবিওর প্রভাব ছিল উল্লেখযোগ্য। রুবিও জোর দিয়ে বলেছেন, এনএসসিকে নীতি নির্ধারণকারী সংস্থা না রেখে মূলত একটি সমন্বয়কারী সংস্থা হিসেবে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
অনামিকা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এনএসসির কর্মীসংখ্যা প্রায় ৫০ জনে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা চলছে। একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে একটি মার্কিন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আফ্রিকা নীতি এবং ন্যাটো সমন্বয় তত্ত্বাবধায়ক অধিদপ্তরগুলো বাদ দেওয়া বা একত্রিত করার কথা ভাবা হচ্ছে। এছাড়া সিরিয়ার উপর প্রয়োগ করা নিষেধাজ্ঞাগুলো প্রত্যাহারের মত পদক্ষেপগুলো ট্রাম্প প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ‘টপ-ডাউন মডেলের’ উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করছেন।
সোর্স: বাংলানিউজ২৪.কম
মন্তব্য করুন: