দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২১ মে হোয়াইট হাউসে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
দুই নেতা মধ্যে বৈঠকটি হাসি মুখে শুরু হলেও কিছুক্ষণ পর তা উত্তেজনায় রূপ নেয়। তবে জেলেনস্কির মতো বাকবিতণ্ডায় না জড়িয়ে পরিস্থিতি সামলে নিয়েছেন রামাফোসা। বৈঠকে ট্রাম্প দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও তাদের জমি দখলের মিথ্যা অভিযোগ করেন।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর ট্রাম্প দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে- দেশটির রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার, জরুরি মার্কিন সহায়তা বাতিল, দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ সংখ্যালঘু আফ্রিকানারদের যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়ের ঘোষণা এবং আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে করা গণহত্যার মামলার সমালোচনা।
দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার যুক্তরাষ্ট্র। এজন্য ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করতে আসার আগেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন রামাফোসা। তিনি সঙ্গে করে দক্ষিণ আফ্রিকার বিখ্যাত শ্বেতাঙ্গ গলফ খেলোয়াড়দের সঙ্গে এনেছেন।
তবে এতে খুব একটা কাজ হয়নি। কারণ ট্রাম্পের সাজিয়ে রাখা পূর্বপরিকল্পনা ধরতে পারেননি রামাফোস। ওভাল অফিসে বৈঠক শুরু হওয়ার অল্প সময় পর ট্রাম্প দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গের বিরুদ্ধে নিপীড়নের খতিয়ান মেলে ধরেন। একপর্যায়ে একটি ভিডিও চালিয়ে দেন এবং ছাপানো খবরের কিছু কাটিং উল্টে-পাল্টে দেখাতে থাকেন। এসব নিজের অভিযোগের পক্ষের প্রমাণ বলে দাবি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্প যে ভিডিওটি প্রদর্শন করেছেন, তা ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ধারণ করা। এটি ধারণ করার এক সপ্তাহ আগে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি খামারে দু’জন নিহত হয়েছিল। এর প্রতিবাদে সেখানে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল।
রামাফোসার কাছে অভিযোগ করে ট্রাম্প বলেন, ‘মানুষ নিজেদের নিরাপত্তার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের জমি দখল করে নেয়া হচ্ছে এবং অনেক ক্ষেত্রে তাদের হত্যা করা হচ্ছে।’
ওভাল অফিসে বৈঠকের সময় ট্রাম্পের একের পর এক অভিযোগ উত্থাপনের সময় পাশের চেয়ারে রামাফোসা শান্ত ও স্থিরভাবে বসে সংযতভাবে প্রতিবাদ জানান।
সোর্স: চ্যানেল ২৪
মন্তব্য করুন: