দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। সাম্প্রতিক সংঘর্ষে দুই পক্ষ মিলিয়ে দুই শতাধিক প্রাণহানি ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের কাবুল ও পাকতিকা প্রদেশে একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনায় তালেবান সরকার পাকিস্তানকে ‘সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের’ অভিযোগ তোলে। জবাবে পাকিস্তান দাবি করে, তারা টেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) নেতাদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর তথ্যমতে, সীমান্তে শনিবার রাতে সংঘর্ষে ২৩ সেনা নিহত ও ২৯ জন আহত হয়। তাদের দাবি, তারা দুই শতাধিক তালেবান যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। অন্যদিকে, তালেবান মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, প্রতিশোধমূলক হামলায় ৫৮ পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছে।
তালেবান সরকারের অভিযোগ, পাকিস্তান বারবার সীমান্ত লঙ্ঘন করছে, আর ইসলামাবাদের দাবি, আফগান সরকার টিটিপিকে আশ্রয় দিচ্ছে।
মূল বিবাদের কেন্দ্র ডুরান্ড লাইন, যা ১৮৯৩ সালে ব্রিটিশদের নির্ধারিত হলেও আফগানিস্তান কখনো স্বীকৃতি দেয়নি। তালেবান একে এখনো "কাল্পনিক সীমারেখা" বলে উল্লেখ করে।
আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুতাক্কি জানান, কাতার ও সৌদি আরবের অনুরোধে আফগানিস্তান আপাতত সংঘর্ষ বন্ধ করেছে। তবে সতর্ক করেছেন, পাকিস্তান যদি উত্তেজনা বাড়ায়, আফগানিস্তান প্রস্তুত।
বিশ্লেষকদের মতে, ডুরান্ড লাইন বিতর্ক, টিটিপির আশ্রয় এবং দ্বিপাক্ষিক অবিশ্বাস এই তিন কারণেই সীমান্ত এখন যুদ্ধক্ষেত্রে রূপ নিচ্ছে।
মন্তব্য করুন: