সুদানের দারফুর অঞ্চলের এল-ফাশার শহরে গণহত্যার পর এখনও হাজারো মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) শহরটি দখলের পর পালিয়ে আসা বেসামরিক নাগরিকরা ভয়াবহ নির্যাতনের বিবরণ দিচ্ছেন।
গত দুই বছরে সুদানে চলমান সংঘাতে দেড় লাখেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত। আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্ভিক্ষে গোটা দেশ বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে।
এল-ফাশার ছিল উত্তর দারফুর রাজ্যের রাজধানী ও সেনাবাহিনীর শেষ ঘাঁটি। পতনের পর থেকেই জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বেসামরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে। পালিয়ে আসা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আরএসএফ যোদ্ধারা নির্বিচারে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, নারী ও কিশোরীদের ওপর যৌন নির্যাতন করেছে।
আলখির ইসমাইল নামে এক তরুণ জানান, পালানোর সময় তাঁর দলের বহুজনকে আরএসএফ হত্যা করে। তাহানি হাসান নামে এক নারী বলেন, তাঁকেও তল্লাশি করা হয়। ফাতিমা আবদুল রহিম জানান, পাঁচ দিন পায়ে হেঁটে পালানোর পর জানতে পারেন—তাঁদের পেছনে থাকা নারীদের ধর্ষণ করা হয়েছে। আরও জানা গেছে, আরএসএফ যোদ্ধারা মা-বাবার সামনে সন্তানদের হত্যা করছে বা ধরে নিয়ে যাচ্ছে, যাদের পরিণতি অজানা।
মন্তব্য করুন: