সুদানের পশ্চিম দারফুর অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শহর আল-ফাশির দখল করার পর সেখানে (আরএসএফ) জাতিগত বিদ্বেষমূলক হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর দাবি, আরএসএফ যোদ্ধারা শত শত বেসামরিক পুরুষকে ধরে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে এবং অনেককে গুম করেছে।
শহর থেকে পালিয়ে আসা আলখেয়ার ইসমাইল জানিয়েছেন, আরএসএফ যোদ্ধারা শতাধিক পুরুষকে একটি জলাধারের পাশে নিয়ে গিয়ে গালিগালাজের পর গুলি চালায়। সৌভাগ্যক্রমে, তার স্কুলজীবনের এক চেনা ব্যক্তি তাকে পালাতে সাহায্য করেন। রয়টার্স চারজন প্রত্যক্ষদর্শী ও ছয়জন সাহায্যকর্মীর সাক্ষাৎকার নিয়ে নিশ্চিত করেছে যে, আল-ফাশির দখলের পর পুরুষদের নারী-শিশুদের থেকে আলাদা করা হয় এবং পরেই শোনা যায় গুলির শব্দ।
জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর জানিয়েছে, শত শত বেসামরিক ও নিরস্ত্র যোদ্ধাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়ে থাকতে পারে, যা যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে। চিকিৎসা সংস্থা মেডিসিন্স স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্স (এমএসএফ) জানায়, পালানোর চেষ্টায় থাকা প্রায় ৫০০ মানুষকে আরএসএফ ও তাদের মিত্ররা হত্যা বা আটক করেছে। আটক ব্যক্তিদের লিঙ্গ, বয়স ও জাতিগত পরিচয় অনুযায়ী আলাদা করা হচ্ছে এবং মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, আরএসএফ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, এগুলো “শত্রুদের বানানো গল্প”। তবে আরএসএফ প্রধান মোহামেদ হামদান দাগালো তার যোদ্ধাদের বেসামরিকদের সুরক্ষা ও আটক ব্যক্তিদের মুক্তি দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন: