ক্রেমলিনের পারমাণবিক বাহন প্রদর্শন ও নতুন অস্ত্র পরীক্ষার জবাবে হোয়াইট হাউস পারমাণবিক পরীক্ষা পুনরায় শুরু করার নির্দেশ দেওয়ার সম্ভাব্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে; ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন, “অন্যান্য দেশ পরীক্ষামূলক কর্মসূচি চালানোর কারণে আমি সমতার ভিত্তিতে যুদ্ধ বিভাগকে পারমাণবিক পরীক্ষা শুরুর নির্দেশ দিচ্ছি।” তিনি স্পষ্ট করেন যে এই সিদ্ধান্ত চীনের সঙ্গে কোনও প্ররোচনায় হয়নি।
রাশিয়া সমুদ্রভিত্তিক পসেইডন পারমাণবিক টর্পেডো এবং বুরেভেস্টনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষার ঘোষণা দিয়েছে; পুতিন এসবকে ‘অজেয়’ ও অনন্য হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। পেন্টাগনের প্রতিক্রিয়া এবং চূড়ান্ত অনুমোদন ট্রাম্পের ওপর নির্ভর করছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্রেমলিন পারমাণবিক ক্ষমতা দেখিয়ে কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করতে চায়—বিশেষত ইউক্রেন যুদ্ধ সংক্রান্ত আলোচনা নিয়ে। একই সঙ্গে রাশিয়ার এই কর্মসূচি থেকে বিশ্বব্যাপী নতুন নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ জাগছে এবং পারমাণবিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে।
চলমান ‘নিউ স্টার্ট’ চুক্তি (২০১১) দু’দেশের মধ্যকার পারমাণবিক সামর্থ্য সীমিত করেছিল; চুক্তি ২০২৬ ফেব্রুয়ারিতে মেয়াদ শেষ হবে—যা ভবিষ্যতে নিয়ন্ত্রণ ও আস্থাভিত্তিক আলোচনায় জটিলতা বাড়াতে পারে। বিশেষত টমাহক বিতর্ক ও ইউক্রেন-রাশিয়া দ্বন্দ্বের প্রেক্ষিতে কূটনৈতিক অগ্রগতি স্থবির হলে পারমাণবিক টানাপড়েন আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিস্থিতি বিশ্বকে “নতুন, বিপজ্জনক ও অপ্রত্যাশিত যুগ”-এ ঠেলে দিতে পারে বলে প্রতিবেদক সতর্ক করেছেন।
মন্তব্য করুন: