প্রতিদিনই অফিসে দেরি করে আসাই যেন নিয়মে রূপ নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসকদের। অনেকে একইদিনে ৩ শিফটের ডিউটি করে পরের ২ দিন কাটান ছুটি। ৪০ বছর ধরে বেতন নিচ্ছেন অনেকেই, কিন্তু খণ্ডকালীন বহু চিকিৎসককে কখনো দেখেননি সহকর্মীরা।
চিফ মেডিকেল অফিসার স্বীকার করেছেন, এখনো তারা অ্যানালগ সিস্টেমে কাজ করছেন—কখন কে আসেন বা যান, তার কোনো রেকর্ড নেই। ওষুধ সংরক্ষণেও নেই নির্ধারিত তাপমাত্রা বা মান নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা, ফলে নিয়মিত নষ্ট হচ্ছে ওষুধ এবং নষ্ট হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেবার মান।
ফলে অধিকাংশ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা পাশের ঢাকা মেডিকেল, পিজি হাসপাতাল বা ইবনে সিনা মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
এদিকে, মেডিকেল সেন্টার সংস্কারে তুর্কিয়ে ভিত্তিক সংস্থা ‘টিকা’ প্রায় তিন কোটি টাকা সহযোগিতা দিলেও কাজ এগোচ্ছে কচ্ছপ গতিতে। অনিয়ম, অবহেলা আর স্বচ্ছতা সংকটের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি এখন আস্থাহীনতার প্রতীকে পরিণত হয়েছে।
মন্তব্য করুন: