 
                                                                        
                                    চলচ্চিত্র জগতে এক ক্ষণজন্মা তারকা হিসেবে আবির্ভাব হওয়া সালমান শাহর মৃত্যু আজও রহস্যময়। ১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মাধ্যমে তার ক্যারিয়ার শুরু হলেও মাত্র চার বছরে তিনি ২৭টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন, সবই সুপারহিট।
সালমানের মা নীলা চৌধুরী বিশ্বাস করেন, এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। সালমানের স্ত্রী সামিরাকে মামলার এক নম্বর আসামি করা হয়েছে। সামিরা সম্প্রতি সালমানের জন্মদিনে গণমাধ্যমে কিছু অজানা ঘটনা শেয়ার করেছেন। তিনি বলেন, সালমান সবসময় অন্যের কথা ভাবতেন, জন্মদিনে নিজেকে কম প্রকাশ করতেন, কিন্তু তার পরিবারের জন্য বিশেষ কিছু আয়োজন করতেন।
সামিরা জানান, তাদের সংসার সুখী ছিল। সালমানের সঙ্গে তুচ্ছ মনোমালিন্যের পর ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬ সালে তিনি রুমে চলে যান, দরজা বন্ধ করেন এবং সেই রাতেই মারা যান। সামিরা উল্লেখ করেন, সালমানে এর আগেও তিনবার আত্মহত্যার চেষ্টা ছিল। তিনি বলেন, সালমান মানসিকভাবে আত্মহত্যার ঝুঁকিপূর্ণ ছিলেন।
সামিরা নীলা চৌধুরীর অভিযোগ, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই সংক্রান্ত সব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, সালমানের বাবা ইউডি মামলা হিসেবে মৃত্যুর বিষয়টি রমনা থানায় দায়ের করেছিলেন। পরবর্তীতে সালমানের মা হত্যা মামলা করার চেষ্টা করেছেন।
২৯ বছর আগে ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত হত্যা মামলা সম্প্রতি আদালতের আদেশে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ পেয়েছে। রমনা থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেন ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক।
মন্তব্য করুন: