রাজধানীর দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অভ্যন্তরে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় বদলে গেছে বহু পরিবারের জীবনচিত্র।
এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৯ জন শিক্ষার্থী, এবং শতাধিক দগ্ধ ও আহত হয়েছেন। আহতদের অধিকাংশই বর্তমানে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হাসপাতালের পরিবেশ এখন যেন এক বেদনার জনপদ।
সোমবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একের পর এক অ্যাম্বুলেন্স এসে থামছে বার্ন ইউনিটের সামনের সড়কে। স্ট্রেচারে করে নামানো হচ্ছে দগ্ধ শিশু-কিশোরদের। হাসপাতালের চত্বর থেকে কেবল একটি শব্দই প্রতিধ্বনিত হচ্ছে— ‘রক্ত চাই, রক্ত!’। কেউ তার স্বজনের জন্য ‘ও নেগেটিভ’ রক্তের খোঁজ করছেন, কেউবা ‘বি পজিটিভ’ রক্তের জন্য আকুতি জানাচ্ছেন। একজন থরথর কাঁপা কণ্ঠে বলেছেন, ‘রক্ত না পেলে ছেলেটা বাঁচবে না!’।
হাসপাতাল চত্বরে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখা গেছে। অ্যাম্বুলেন্স থামলেই অভিভাবকেরা তাদের সন্তানকে খুঁজে পাওয়ার আকুতি নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন। কেউ কেউ আশঙ্কাজনক অবস্থায় সন্তানকে দেখে জ্ঞান হারাচ্ছেন। একজন বাবার চিৎকার এখনো কানে বাজছে— ‘আমার ছেলেটা কোথায়? অ্যাম্বুলেন্সে আমার ছেলেটা আছে?’।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানিয়েছেন, ‘এ পর্যন্ত ৬০ জনের মতো আহত ভর্তি হয়েছে। তাদের প্রায় সবাই স্কুলের শিক্ষার্থী। সবার অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক।’
সোর্স: আজকের পত্রিকা
মন্তব্য করুন: