৩০ ডিসেম্বরের কনকনে শীতের সকালে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নেমে আসে গভীর শোক। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাঁর মৃত্যুতে সারাদেশে শোকের ছায়া নেমে আসে।
খবর ছড়িয়ে পড়ার পর হাসপাতালে জড়ো হন বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দেশে ফেরার মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় মায়ের মৃত্যু তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে গভীর শোকের মুখে ফেলেছে।
দীর্ঘদিন নির্বাসিত জীবন, পারিবারিক বিচ্ছেদ ও রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে তারেক রহমানের এটি আরেকটি বড় ক্ষতি। এর আগে ২০১৫ সালে ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যু এবং ১৯৮১ সালে পিতা জিয়াউর রহমানকে হারানোর অভিজ্ঞতা তাঁর জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, খালেদা জিয়ার মৃত্যু শুধু একটি রাজনৈতিক অধ্যায়ের অবসান নয়, বরং বিএনপির ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব ও কৌশল নির্ধারণেও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। রাষ্ট্রীয় শোকের মধ্য দিয়ে জাতি বিদায় জানাচ্ছে এক দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের প্রতীককে।
মন্তব্য করুন: