[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫
৩০ শ্রাবণ ১৪৩২

পদ্মায় পানি বৃদ্ধি, আতঙ্কে চরবাসী

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২ আগষ্ট ২০২৫ ১৬:০৮ পিএম

ফাইল ছবি

ভারি বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণে গত জুলাই মাস থেকে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তবে আগস্টের প্রথম সপ্তাহে হঠাৎ অস্বাভাবিক হারে পানি বাড়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পদ্মাপাড়ের মানুষ। এতে বন্ধ হয়ে গেছে ১৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম। 

ইতোমধ্যে পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা প্লাবিত হয়েছে। বসবাসের ঘরবাড়ি এখনো প্লাবিত না হলেও বন্যার আশঙ্কায় রয়েছেন নদীসংলগ্ন উপজেলার ৪ ইউনিয়নের বাসিন্দারা। বিশেষ করে রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী ইউনিয়নের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এ ছাড়া ১৩টি প্রথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়ে।

পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়াটার হাইড্রোলজি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল ৯টা পর্যন্ত পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ১২ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ১ মিটা নিচে। এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ধরা হয়েছে ১৩ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার।

চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান বলেন, প্রতিদিন নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়েছে, চরের ধান, মরিচ ও পাট ডুবে গেছে। ঘরবাড়ি প্লাবিত না হলেও সবাই পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি ঢুকে পড়ায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

রামকৃষ্ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ মন্ডল বলেন, নদীর ওপারের অন্তত ৩০ হাজার মানুষের বসবাস, যার অধিকাংশই পানিবন্দি। ঘরবাড়িতে এখনো পানি ওঠেনি, তবে মাঠের আবাদি ফসল ডুবে গেছে।

প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ কালবেলাকে জানান, ইতোমধ্যে চরের দুই ইউনিয়নের ১৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করায় শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। বাকিগুলো সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে কালবেলাকে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল হাই সিদ্দিকী।

সোর্স: কালবেলা

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর