বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্বারা পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সহায়তা করছে যুক্তরাজ্য।
তিনি বলেন, ‘পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারের জন্য যুক্তরাজ্যের সঙ্গে নিবিড় আলোচনা করছে সরকার।তাছাড়া যুক্তরাজ্যে নথিপত্র তৈরিতেও সহায়তা করছে।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রতিনিধিদলের অংশ হিসেবে ১০ জুন থেকে ১৩ জুন লন্ডন সফরের পর ১৫জুন গভর্নর তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
মনসুর বলেন, যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশের কাছ থেকে পারস্পরিক আইনি সহায়তার অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ।
গভর্নর আরও বলেন, ‘এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে পাচারকারীদের সম্পত্তি এবং লুট করা অর্থ সম্পর্কে তথ্য হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ। তথ্যের ভিত্তিতে বিদেশি কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেয়।’
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর যুক্তরাজ্যে ১৭০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের সম্পত্তি জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছে। গত মাসে বেক্সিমকো গ্রুপের শায়ান রহমান এবং শাহরিয়ার রহমানের ৯০ মিলিয়ন পাউন্ডের সম্পদ জব্দ করা হয়।
গভর্নর বলেন, আন্তর্জাতিক মামলা-মোকদ্দমায় দক্ষ আইনি সংস্থাগুলো সম্পদ পুনরুদ্ধারের জন্য ৫০ মিলিয়ন থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। মামলার তহবিলদাতা হলেন একজন তৃতীয় পক্ষ যা মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত আইনি খরচ মেটাতে মামলা থেকে সম্ভাব্য অর্থ পুনরুদ্ধারের একটি অংশের বিনিময়ে মামলাকারীকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে।
তিনি আরও বলেন, ‘আইনি সংস্থাগুলো উদ্ধারকৃত অর্থের ১৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ পাবে। তবে কী পরিমাণ অর্থ উদ্ধার হবে- তার ভিত্তিতে এটি চূড়ান্ত হবে।
সোর্স: যুগান্তর
মন্তব্য করুন: