রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে সোমবার উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, যখন বুলডোজার নিয়ে কিছু তরুণ বাড়িটির সামনে অবস্থান নেয়ার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাধা দেয়। দুপুরের দিকে ট্রাকে করে দুটি বুলডোজার আনা হলে সেনাবাহিনী তা থামিয়ে দেয় এবং গাড়িগুলো থেকে তরুণদের নামিয়ে দেয়।
সেনাবাহিনীর স্পষ্ট বক্তব্য, দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী সেখানে কোনো ধরনের ভাঙচুরের অনুমতি নেই।
এক পর্যায়ে এক্সকাভেটর এগোতে চাইলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ছাত্র-জনতাকে ঠেকানোর চেষ্টা করে, পরে লাঠিচার্জও করে। এতে ক্ষুব্ধ জনতা ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে, ফলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে এবং পুরো এলাকা থমথমে হয়ে পড়ে। ছাত্রদের একটি অংশ আওয়ামী লীগবিরোধী স্লোগান দিয়ে পরিবেশ আরও উত্তপ্ত করে তোলে। তারা দাবি করে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার পর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ভবনটি “গুঁড়িয়ে দেওয়া” হবে।
জুলাই স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের এক নেতা নাহিদ হাসান বলেন, অতীতে তারা বাড়িটি ভাঙার চেষ্টা করেছিল, এবার রায়ের পর আওয়ামী লীগের “রাজনীতি ধূলিসাৎ হবে” বলে আশা করছেন।
এর আগেও ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে বুলডোজার দিয়ে বাড়িটির অংশ ভাঙচুর করা হয় এবং ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বাড়িটিতে আগুন লাগানো হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এলাকা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
মন্তব্য করুন: