বাংলাদেশে সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতার মেয়াদ আরও তিন মাসের জন্য বাড়িয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমপদমর্যাদার কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তা—কোস্টগার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে থাকা কর্মকর্তারাও এই ক্ষমতার আওতায় থাকবেন।
সিদ্ধান্তটি কার্যকর হবে ২০২৫ সালের ১২ নভেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, “জনস্বার্থে জারি করা এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।”
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারার অধীন অপরাধগুলো আমলে নেওয়ার ক্ষমতা থাকবে বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের হাতে। অর্থাৎ, তারা এসব ধারার আওতাভুক্ত অপরাধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর, ৮ আগস্ট গঠিত হয় ড. ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর সশস্ত্র বাহিনীকে প্রথমবারের মতো বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়। এরপর থেকে এই মেয়াদ নিয়মিতভাবে দুই মাস করে বাড়ানো হচ্ছিল।
সরকারি সূত্র বলছে, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট ও আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এই ক্ষমতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা, তাই প্রশাসনিক ও নিরাপত্তাজনিত প্রস্তুতি জোরদারে সেনাবাহিনীসহ সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন: