ইথিওপিয়ায় প্রথমবারের মতো মারবোর্ক ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিশ্চিত হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের ওমো অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ৯ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। শুক্রবার ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেসাস জানান, ইথিওপিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে, যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে।
শুরুতে ভাইরাল হেমোরেজিক জ্বর সন্দেহ করা হলেও পরে নিশ্চিত হয় এটি মারবুর্গ ভাইরাস, ইবোলা পরিবারের ফিলোভাইরাস গ্রুপের সদস্য, যা আরও গুরুতর বলে বিবেচিত।
মারবুর্গ ভাইরাসের উৎস মিশরের ফলখেকো বাদুড়ে ধরা হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের তরল বা দূষিত বস্তু যেমন পোশাক, বিছানার চাদর স্পর্শের মাধ্যমে এটি ছড়ায়। উপসর্গের মধ্যে রয়েছে জ্বর, ত্বকে র্যাশ, রক্তক্ষরণ এবং তীব্র দুর্বলতা। ভাইরাসটির এখনো নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ বা টিকা নেই; চিকিৎসা মূলত বিশ্রাম, পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ এবং সাপোর্টিভ কেয়ারের ওপর নির্ভরশীল।
প্রাদুর্ভাবের অঞ্চলটি দক্ষিণ সুদানের নিকটবর্তী হওয়ায় সংক্রমণ সীমান্ত পেরিয়ে ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। আফ্রিকা সেন্টারের মহাপরিচালক জে ক্যাসোয়া সতর্ক করেন, দক্ষিণ সুদানের দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সংক্রমণ মোকাবিলায় চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।
ডব্লিউএইচও ইথিওপিয়ায় সহায়তা শুরু করেছে। আক্রান্তরা কোয়ারেন্টাইনে এবং চিকিৎসাধীন। তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আইসোলেশনে রাখার কাজ চলছে। একই সঙ্গে স্থানীয় পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, স্ক্রিনিং ও নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জনগণকে আতঙ্কিত না হয়ে উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
মন্তব্য করুন: