[email protected] রবিবার, ১৮ মে ২০২৫
৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ট্রাম্পের ট্যারিফে বিপদে ‘গেম অব থ্রোনস’ এর শহর

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২৫ ১৬:০৫ পিএম

ফাইল ছবি

ক্রোয়েশিয়ার প্রাচীন শহর ডুব্রভনিক। শহরটির দুর্গ ও পাথরের রাস্তাগুলো বিখ্যাত টেলিভিশন সিরিজ গেম অব থ্রোনস ও স্টার ওয়ার্স: দ্য লাস্ট জেডাই-এর শ্যুটিং লোকেশন হিসেবে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

সেই শহর এখন হুমকির মুখে। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে নির্মিত সব সিনেমার ওপর ১০০ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপের যে ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাতে শঙ্কিত ক্রোয়েশিয়ার বিনোদন খাত ও ডুব্রভনিকের স্থানীয় বাসিন্দারা।

ক্রোয়েশিয়ান চলচ্চিত্র প্রযোজক ইগর আলেকজান্ডার নোলা বলেন, ‘ট্রাম্পের পরিকল্পিত ট্যারিফের কারণে এরইমধ্যে বড় ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যেই আমাদের বাজেট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।‘ তিনি আরো জানান, অডিও-ভিজ্যুয়াল শিল্পে ব্যাংক ও বিনিয়োগ তহবিলের অর্থায়ন অনিশ্চয়তার কারণে থেমে গেছে।

হলিউড বহু বছর ধরেই মধ্য ও দক্ষিণ ইউরোপের দেশগুলোকে শ্যুটিং লোকেশন হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। এখানকার নাটকীয় প্রাকৃতিক দৃশ্য, স্থাপত্যের বৈচিত্র্য এবং তুলনামূলক কম খরচের কারণে এগুলো হয়ে উঠেছে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের প্রিয় স্থান। একবার কোনো চলচ্চিত্র বা সিরিজ জনপ্রিয় হলে সেই লোকেশন হয়ে ওঠে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।

ডুব্রভনিকের গাইড ইভান ভুকোভিচ বলেন, গেম অব থ্রোনস শহরটাকে বদলে দিয়েছে। তার মতে, প্রতিদিন প্রায় ১,০০০ পর্যটক গেম অব থ্রোনস ট্যুরে অংশ নেন। এর প্রভাবে শহরে নতুন স্যুভেনির দোকান খোলা হয়েছে। অফ সিজনে স্থানীয়দের জন্য চলচ্চিত্র প্রযোজনায় কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

তবে ট্রাম্প ঠিক কবে থেকে ট্যারিফ কার্যকর করবেন তা এখনো পরিষ্কার নয়। ফলে সিনেমা শিল্পের শীর্ষ কর্মকর্তারা উদ্বেগের সঙ্গে অপেক্ষা করছেন—এই শুল্ক আসলে কীভাবে কার্যকর হবে।

ডুব্রভনিকের মেয়র মাতে ফ্রাঙ্কোভিচ অবশ্য ততটা উদ্বিগ্ন নন। বছরে প্রায় ১৪ লাখ পর্যটক এই শহরে আসেন। তিনি বলেন, কোনো বড় মার্কিন চলচ্চিত্র বা প্রযোজনা ইউরোপের কোনো শহর বাদ দিয়ে সম্ভব হবে।‘

তবুও স্থানীয় অর্থনীতি ও ইউরোপের আউটডোর শ্যুটিং শিল্পের জন্য ট্রাম্পের ট্যারিফ বড় ধরনের বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।

সোর্স: বণিক বার্তা

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর