গাজা সংঘাত চলাকালে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর নজিরবিহীন চাপের মুখে পড়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
যুক্তরাষ্ট্র আদালতের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় শুধু বিচারিক কার্যক্রম নয়, আইসিসির বিচারক ও প্রসিকিউটরদের ব্যক্তিগত জীবনেও চরম অস্বস্তি নেমে এসেছে।
বার্তা সংস্থা এপি জানায়, নিষেধাজ্ঞার ফলে হেগভিত্তিক আদালতের অন্তত নয়জন কর্মকর্তা—যাদের মধ্যে ছয়জন বিচারক ও প্রধান প্রসিকিউটর রয়েছেন—ব্যাংকিং, ক্রেডিট কার্ড, অনলাইন কেনাকাটা ও ডিজিটাল পরিষেবা ব্যবহারে গুরুতর সমস্যায় পড়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ হওয়ায় আন্তর্জাতিক বৈঠক ও কনফারেন্সে অংশ নেওয়াও অসম্ভব হয়ে উঠেছে।
কানাডীয় বিচারক কিম্বারলি প্রোস্ট বলেন, এসব নিষেধাজ্ঞায় দৈনন্দিন জীবন সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে এবং তাদের নাম এমন তালিকায় যুক্ত হয়েছে, যেখানে সাধারণত সন্ত্রাসী বা গুরুতর অপরাধীদের রাখা হয়। অনেক বিচারকের দাবি, নিষেধাজ্ঞা পরিবারের সদস্যদের শিক্ষা ও ভ্রমণ পরিকল্পনাতেও প্রভাব ফেলেছে।
তবে এত চাপের মধ্যেও আইসিসির বিচারক ও প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, তারা আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে তদন্ত ও বিচারপ্রক্রিয়া চালিয়ে যাবেন। তাদের ভাষায়, রাজনৈতিক চাপ বা নিষেধাজ্ঞা ন্যায়বিচারের পথ রুদ্ধ করতে পারবে না।
মন্তব্য করুন: