[email protected] বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
২৮ কার্তিক ১৪৩২

হাসিনার রায়ের তারিখ ঘোষণার দিন পরিস্থিতি ঘোলা করার চেষ্টায় কারা লিপ্ত?

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০২৫ ২০:১১ পিএম

ছবি : সংগৃহীত

সাম্প্রতিক কয়েকদিনের সংবাদ শিরোনাম ঘাঁটলে স্পষ্টই চোখে পড়ে এক অস্থির চিত্র। কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ এবং একের পর এক গণপরিবহনে অগ্নিসংযোগ, এসব ঘটনায় আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন।

জনমনে ফিরে এসেছে পুরনো এক আশঙ্কা, তবে কি আবারও ঘোলাটে হতে যাচ্ছে রাজনৈতিক পরিবেশ?

এই উদ্বেগ আরও বেড়েছে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সাম্প্রতিক এক বক্তব্যে। তিনি জানিয়েছেন, ১৩ নভেম্বর শেখ হাসিনার মানবতা বিরোধী অপরাধের রায়ের দিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীকে আট ভাগে ভাগ করে ১৭ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হবে। এতে জনমনে প্রশ্ন জেগেছে, ওই দিন কি সত্যিই সক্রিয় হতে যাচ্ছে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ?

ইতোমধ্যে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দলটির কয়েকজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার শেখ মোহাম্মদ সাজ্জাদ আলী জানিয়েছেন, গত তিন দিনে নয়টি বাসে আগুন দিয়েছে দুবৃত্তরা। এ অবস্থায় ১৩ নভেম্বর “ঢাকা লকডাউন” কর্মসূচি ঘোষণা করেছে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। জানা গেছে, ভারতে অবস্থানরত দলটির হাই কমান্ড এ ঘোষণা দিয়েছেন, যা বাস্তবায়নে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব হয়ে উঠেছে দলীয় কর্মীরা।

এ প্রসঙ্গে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “গণহত্যা, গুম, খুন, দুর্নীতি ও লুটপাটের দায় নিয়ে আজও তারা অরাজকতা সৃষ্টি করে দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করতে চাইছে।” যদিও তিনি নাম উল্লেখ করেননি, তবে তার ইঙ্গিত যে শেখ হাসিনার দিকেই, তা স্পষ্ট।

১৩ নভেম্বরের কর্মসূচি ঘিরে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনও পাল্টা অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, যে কোনো অরাজকতা কঠোর হাতে দমন করা হবে। সেনাবাহিনী ও বিজিবিও প্রস্তুত রয়েছে মাঠে।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসন্ত্রাসের ঘটনা নতুন নয়। তবুও ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর মানুষ ভেবেছিল, এমন দিন আর ফিরবে না। কিন্তু সাম্প্রতিক সহিংসতা যেন সেই আশায় ফের ফাটল ধরাচ্ছে, রাজনীতির পুরনো অন্ধকারই যেন আবার ঘিরে ধরছে দেশকে।

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর