[email protected] বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

রাজস্ব আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন বাজেট, ঋণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে অর্থনীতি: আমীর খসরু

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০২ জুন ২০২৫ ১৮:০৬ পিএম

ফাইল ছবি

অন্তর্বতী সরকারের প্রস্তাবিত বাজেটে গুণগত কোনো পরিবর্তন দেখছে না বিএনপি। রাজস্ব আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ বাজেটে যে পরিমাণ দেশি–বিদেশি ঋণ প্রস্তাব করা হয়েছে, তাতে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছে বিএনপি।

আজ সোমবার রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে প্রস্তাবিত বাজেট (২০২৫-২৬) নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন আমীর খসরু।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘রাজস্ব আয়কে ভিত্তি করে বাজেট করলে প্রাইভেট সেক্টরে মানি ফ্লো থাকল, তার বিনিয়োগ থাকল এবং সুদের হার কমে আসল, বিদেশ থেকে ঋণটা কমে আসল। সেই জায়গা থেকে আমরা খুব একটা সরে আসতে পারিনি। আমি মনে করি, মৌলিক জায়গায় গলদটা রয়ে গেছে।’

সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু বলেন, ‘বিগত সরকার বাজেটের আকার বাড়াতে বাড়াতে যে জায়গায় নিয়ে গিয়েছে, সেটার সঙ্গে বাংলাদেশের রাজস্ব আয়ের কোনো সম্পর্ক নাই। রাজস্ব আয়ের পুরোটাই যখন পরিচালন ব্যয়ে শেষ হয়ে যাবে, উন্নয়ন বাজেটটা কিন্তু দেশের ভেতর ও দেশের বাইরে থেকে ধার করে চালাচ্ছেন। এর ফলে যেটা হয়, ঋণের সুদের কারণে উন্নয়ন কাজ সাফার করে।’

‘আমি মনে করি, এই বাজেটে সেই বিষয়টা লক্ষ্য করে আমাদের রাজস্ব আয়ের সঙ্গে বাজেটের আকারে একটা সম্পৃক্ততা থাকা উচিত ছিল। আমি মনে করি, সেটা হয়নি। রাজস্ব আয় যেটা আছে, তার পুরোটাই পরিচালন ব্যয়ে চলে যাবে। ঋণের কারণে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

প্রস্তাবিত বাজেট প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, ‘আগে যেভাবে বাজেটটা চলে আসছে, সেখান থেকে খুব একটা. . মূলত সংখ্যার তারতম্য ছোটখাটো হয়েছে। কিন্তু বাজেটের যে প্রিন্সিপল, ওই জায়গাটায় কিন্তু আমরা আগের মতই রয়ে গেছি। আগের সরকারের ধারাবাহিকতা থেকে খুব একটা বের হতে পারেনি।’

তিনি বলেন, ‘গুণগত দিক থেকে এই বাজেটে আমরা কোনো পরিবর্তন দেখি নাই। প্রিন্সিপাল একই রয়ে গেছে, শুধুমাত্র সংখ্যার কিছু তারতম্য হয়েছে। কাঠামো কিন্তু একই রয়ে গেছে। এটা আগামী দিনের সরকারের জন্য সহজ কিছু হবে না।’

এর আগে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। সংসদ না থাকায় তাঁর বাজেট বক্তৃতা বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সম্প্রচার করা হচ্ছে।

দায়িত্ব নেওয়ার প্রায় ১১ মাসের মাথায় অর্থ উপদেষ্টা হিসেবে প্রথমবার বাজেটে চলতি বাজেটের চেয়ে ৭ হাজার কোটি টাকার ব্যয় কমিয়েছেন তিনি। স্বাধীনতার পর এই প্রথম বাজেটের আকার আগের অর্থবছরের চেয়ে কমল।

প্রস্তাবিত বাজেটে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার, যা জিডিপির ৯ শতাংশ। এর মধ্যে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বাকি অর্থের সংকুলান হবে অন্যান্য উৎস থেকে।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে।

সোর্স: আজকের পত্রিকা

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর