সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সর্বসম্মত রায়ের মাধ্যমে দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পুনরায় দলীয় নিবন্ধন ফিরে পেয়েছে। এ উপলক্ষে মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করেছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।
শনিবার (১ জুন) দলটির কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো মুজিবুল আলম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান।
বিবৃতিতে জামায়াত আমির বলেন, ১ জুন দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এক সর্বসম্মত রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তার নিবন্ধন ফিরে পাওয়ায় আমরা মহান রবের শুকরিয়া আদায় করছি আলহামদুলিল্লাহ। দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় জুড়ে আইনি লড়াই-সংগ্রাম শেষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দল হিসেবে তার ন্যায্য অধিকার ফিরে পেল। এ রায়ের মাধ্যমে আরও একটি জুলুম-নিপীড়নের অবসান হল। আপিল বিভাগের এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী স্বাধীন বাংলাদেশে ‘রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা ২০০৮’ এর পূর্বে ও পরে যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। অংশগ্রহণমূলক সব জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উল্লেখযোগ্য প্রতিনিধিত্ব ছিল।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর ইসির সব প্রক্রিয়া মেনে যথারীতি নিবন্ধিত হয়। এমতাবস্থায় একটি বিশেষ মহল ২০০৯ সালের ২৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল চেয়ে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে একটি রিট মামলা দায়ের করে। হাইকোর্ট বিভাগ ২০১৩ সালের ১ আগস্ট এক বিভক্ত রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে দেন।
জামায়াতে ইসলামী হাইকোর্ট বিভাগের উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল দায়ের করে। আপিল বিভাগ আজ সর্বসম্মত রায়ে জামায়াতে ইসলামীর আপিলটি মঞ্জুর করে নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার আদেশ দেন। আমরা আরও একবার মহান আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া আদায় করছি আলহামদুলিল্লাহ। এ দীর্ঘ সময় জুড়ে আইনি প্রক্রিয়ায় যে সব আইনজীবী ও সুধী-শুভাকাঙ্ক্ষী বিভিন্নভাবে আমাদের সহায়তা করেছেন, আমরা তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞচিত্তে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, আজকের রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার নিশ্চিত হল এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হল। আমরা আশা করছি এই রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনীতি এক নতুন মাত্রা লাভ করবে ইনশাআল্লাহ।
সোর্স: কালবেলা
মন্তব্য করুন: