গরমকাল মানেই কাঁচা আমের মৌসুম—কখনও লবণ-মরিচ দিয়ে মাখানো, কখনও কাঁচা আমের ঠান্ডা শরবত, আবার কখনও কাঁচা আমের টক ডাল বা আচার। টক স্বাদের এই ফলটি যেমন মুখরোচক, তেমনই পুষ্টিকরও। কিন্তু প্রশ্ন হলো, কাঁচা আম খেয়েও কি ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকে?
পুষ্টিগুণে ভরপুর কাঁচা আম
বিভিন্ন পুষ্টিবিদের মতে, কাঁচা আমে রয়েছে ভিটামিন সি, এ, ই, কে, বি৬, নায়াসিন, ফোলেট ও কপার—যা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়। এক কাপ কাঁচা আমে থাকে ১০০ ক্যালরির কম শক্তি, খানিকটা শর্করা এবং ভালো পরিমাণ আঁশ। তাই শুধুমাত্র কাঁচা আম খাওয়া হলে ওজন বাড়ার তেমন কোনো ঝুঁকি নেই।
বিপত্তি যেখানে
কিন্তু কাঁচা আম অনেকেই খান চিনি, মধু কিংবা গুড় মিশিয়ে। এসব উপাদান কাঁচা আমের স্বাদ বাড়ালেও ক্যালরির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় অনেকটাই, যা ওজন বাড়াতে পারে। চিনির বিকল্প হিসেবে মধু বা গুড় ব্যবহারে বিশেষ লাভ নেই, কারণ এগুলোর ক্যালরিও কম নয়। শুধু ওজন নয়, স্বাস্থ্যসচেতনতার দিক থেকেও এসব উপাদান কম পরিমাণে খাওয়াই ভালো।
আবার অনেকেই কাঁচা আম খান লবণ বা বিট লবণ দিয়ে। এমনকি কাসুন্দিতেও থাকে লবণ। অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ উচ্চ রক্তচাপসহ নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই কাঁচা আমের সঙ্গে লবণের পরিমাণও রাখুন নিয়ন্ত্রণে।
কাঁচা আম রান্না করলেও কিছু পুষ্টি হারায়। রান্নার তাপে নষ্ট হয়ে যায় ভিটামিন সি। বাষ্পে হারায় ভিটামিন বি৬ ও নায়াসিন। শরবতের মাধ্যমে খেলে আঁশের উপকার থেকে বঞ্চিত হবেন।
কাঁচা আম কীভাবে খাবেন
কাঁচা আম পুষ্টিকর এবং গরমে চমৎকার প্রশান্তির উৎস। তবে চিনিযুক্ত বা অতিলবণাক্ত পদ এড়িয়ে চলুন। পাতলা করে কাটা কাঁচা আমে সামান্য মসলা মিশিয়ে খাওয়া যায়—যেমন আমভর্তা। এতে চিনি-লবণের প্রয়োজন পড়ে না। শরবত খেলেও আঁশ বাদে অন্যান্য পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়।
কাঁচা আম উপভোগ করুন স্বাস্থ্যসচেতন উপায়ে। পরিমিতি বজায় রাখলে এর স্বাদ এবং উপকার—দুটোই পাবেন ওজন বা স্বাস্থ্যের চিন্তা ছাড়াই।
সোর্স: Rtv news
মন্তব্য করুন: