[email protected] শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বহির্বিশ্বে উন্মুক্ত হচ্ছে বাংলা সিনেমার দুয়ার!

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯ মে ২০২৫ ১৭:০৫ পিএম
আপডেট: ১৯ মে ২০২৫ ৬:০৮ পিএম

ফাইল ছবি

হলিউড ও বলিউড সিনেমা বিশ্বব্যাপী মুক্তি পায়। শুধু তাই নয়, তামিল, তেলেগু সিনেমার পাশাপাশি ভারতের আঞ্চলিক সিনেমাও বিশ্বের অন্যান্য দেশে মুক্তি দেওয়া হয়। কিন্তু এদিক থেকে অনেকটা পিছিয়ে ছিল ঢাকাই সিনেমা।

বলা যায়, বিদেশে সিনেমা মুক্তি দেওয়ার মতো সাহস করতেই পারছিল না সংশ্লিষ্টরা। কারণ, ঢালিউডের অবস্থা এতটাই করুণ ছিল যে, এগুলো দেশের প্রেক্ষাগৃহেই দর্শক টানতে ব্যর্থ হচ্ছিল। সেখানে এগুলো বিদেশে মুক্তি দেওয়াটাও একটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের মতোই ছিল। তাই হয়তোবা এতদিন বিদেশের বাজার ধরার চিন্তাও করতে পারেনি প্রযোজনা সংস্থাগুলো। 

তবে দেরিতে হলেও, এবার সে পথেই হাঁটছেন তারা। প্রবাসী দর্শকদের উৎসাহ উদ্দীপনাতেই বিদেশে বাংলা সিনেমার একটি বাজার তৈরি হওয়ার সম্ভাবনাও লক্ষ করেছেন প্রযোজক ও পরিবেশকরা। তাই সিনেমাগুলো এখন মুক্তি পাচ্ছে বিদেশে। উন্মুক্ত হয়েছে বাংলা সিনেমার বিশ্ব দুয়ার।

হলিউড বলিউডের পাশাপাশি এখন ঢাকাই সিনেমাও চলছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। শুধুই যে চলছে এমনটাও নয়, বেশ ভালো ব্যবসাও করছে। যা রীতিমতো বাংলা সিনেমার জন্য এক অপার সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে।

‘অস্তিত্ব’ নামের একটি সিনেমা দিয়ে ২০১৬ সাল থেকে বিদেশে বাংলা সিনেমা প্রদর্শনের যাত্রা শুরু হয়। এরপর ‘শিকারি’, ‘আয়নাবাজি’, ‘নবাব’, ‘দেবীসহ বেশ কয়েকটি, সিনেমা মুক্তি দেওয়া হয়। আর তাতে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলা সিনেমার বাজার ধীরে ধীরে বিস্তৃত হতে থাকে। 

ধারাবাহিকভাবে গতবছর বিদেশে মুক্তির তালিকায় যুক্ত হয় ‘প্রিয়তমা’, ‘সুড়ঙ্গ’, ‘রাজকুমার’, ‘দেয়ালের দেশ’, ‘ওমর’ সিনেমাগুলো। যে সময়টাতে হলিউড সিনেমার সুপারপিক মৌসুম, ঠিক সে সময় দেশের সিনেমাগুলো যুক্তরাষ্ট্র, কানাডার প্রেক্ষাগৃহগুলোতে দেখিয়েছে দাপট, চোখ রাঙিয়েছে হলিউড সিনেমাকে। 

এদিকে গত ঈদের তিনটি সিনেমা ‘বরবাদ’, ‘দাগি’, ‘জংলী’ মুক্তি পেয়েছে বিদেশে। যা এখনো চলছে প্রেক্ষাগৃহগুলোতে।

এদিকে পরিবেশক সংস্থাগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিদেশে সিনেমা মুক্তির প্রক্রিয়াটা খুব একটা কঠিন নয়। সেক্ষেত্রে প্রথম ও প্রধান শর্ত হচ্ছে ভালো সিনেমা। যেখানে দেশে সিনেমার ভালো প্রচার-প্রচারণা ও দর্শক চাহিদা থাকার বিষয়টি বেশি গুরুত্ব পায়। এছাড়া সিনেমাটির ন্যূনতম টু কে রেজুলেশনে শুট করা ও সাবটাইটেল থাকতে হয়। শর্তগুলো থাকলেই প্রেক্ষাগৃহগুলোতে সিনেমা পাঠানো থেকে শুরু করে সেন্সর করানো ও প্রচার-প্রচারণার সব খরচ পরিবেশক প্রতিষ্ঠানই বহন করে থাকে।

সোর্স: যুগান্তর 

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর