[email protected] রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
২৯ আষাঢ় ১৪৩২

নামছে বন্যার পানি, ভেসে উঠছে ক্ষতচিহ্ন!

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩ জুলাই ২০২৫ ১৬:০৭ পিএম

ফাইল ছবি

ফেনীতে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দৃশ্যমান হচ্ছে ক্ষতর চিহ্ন।

সরজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি কমে যাওয়ায় নিরাপদে আশ্রয় নেওয়া বাসিন্দারা নিজ নিজ ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। তবে ঘরে কাঁদা থাকায় স্বাভাবিকভাবে বসবাস শুরু করতে আরও দু-তিনদিন সময় লাগবে। কর্দমাক্ত ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে দেখা গেছে অনেককে। 

এদিকে ফেনী থেকে ফুলগাজী পর্যন্ত যান চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। তবে এখনও যান চলাচল বন্ধ রয়েছে পরশুরাম সড়কে। যেসব এলাকা থেকে পানি সরে গেছে সেসব এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক করা হয়েছে। 

বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন হতদরিদ্র, দিনমজুর ও প্রান্তিক কৃষকরা। মানুষের ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, গ্রামীণ সড়ক নষ্ট হয়ে গেছে। পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। সড়ক গুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

জেলা প্রশাসন থেকে দেওয়া তথ্যমতে জানা যায়, মুহুরী নদীর পানি পরশুরাম পয়েন্টে বিপৎসীমার তিন মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ছাগলনাইয়া পয়েন্টে হরিপুর এলাকা হয়ে মুহুরি নদীর পানি ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ছাগলনাইয়া, ফেনী সদর ও দাগনভূঁইয়ার কিছু গ্রাম বেশ কয়েকটি এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।

এ দিকে গেল রাতে ফেনী শহরের পেট্রোবাংলা এবং আরামবাগ এলাকায় আবার কিছুটা পানি উঠেছিল। তবে সকালে নেমে গেছে। এ বন্যায় ৩৭ হাজার মানুষ পানিতে নিমজ্জিত ছিল। এখনও সাড়ে চার হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে। ৫০০০ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ঘরে ফিরেছে। এখনও ৮৭টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু রয়েছে। উপজেলাগুলোতে ১৬০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দুর্গতদের মধ্যে ২২০০ প্যাকেট শুকনা ও অন্যান্য খাবার দেওয়া হয়েছে।

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আক্তার হোসেন মজুমদার বলেন, পানি নেমে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করা হবে।

সোর্স: যুগান্তর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর