 
                                                                        
                                    বায়ুদূষণে শীর্ষে থাকা ভারতের রাজধানী দিল্লি পরিণত হয়েছে এক ‘ধোঁয়াশার নগরীতে’। শহরের বাতাসে দূষণের মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে প্রতিমুহূর্তে শ্বাস নেওয়াই কষ্টকর হয়ে পড়েছে বাসিন্দাদের জন্য। হাসপাতালগুলোতে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি ও চোখের রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে।
এই ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলায় অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে ভারত সরকার। দূষণ নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে এবার ‘ক্লাউড সিডিং’ প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় বিমান ও ড্রোনের মাধ্যমে মেঘে ছড়ানো হবে বরফের কণার মতো সিলভার আয়োডাইড, যা ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টিপাতে সহায়তা করবে। ধারণা করা হচ্ছে, বৃষ্টির মাধ্যমে বাতাসে থাকা ধূলিকণা ও ক্ষতিকর গ্যাসের ঘনত্ব কমে যাবে।
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (আইআইটি) কানপুরের গবেষকরা সম্প্রতি এ প্রযুক্তির সফল পরীক্ষা চালিয়েছেন। ভারতের পরিবেশমন্ত্রী মানজিন্দার সিং সির্শা এক বিবৃতিতে বলেন, “আজ দিল্লির জন্য ঐতিহাসিক দিন। আইআইটি কানপুরের সফল পরীক্ষার পর এবার আমরা বাস্তবে ‘ক্লাউড সিডিং’ প্রক্রিয়া চালু করতে প্রস্তুত।”
তবে সরকারের এই পদক্ষেপ নিয়ে উঠেছে বিতর্কও। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সিলভার আয়োডাইড ও সোডিয়াম ক্লোরাইডের মতো রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার পরিবেশ ও কৃষিতে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। তারা সতর্ক করে বলেছেন, দূষণ কমাতে স্বল্পমেয়াদি কৃত্রিম বৃষ্টির চেয়ে টেকসই নীতিমালা ও সবুজ অবকাঠামোই হতে পারে স্থায়ী সমাধান।
মন্তব্য করুন: