যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন পশ্চিমা দেশের অত্যাধুনিক অস্ত্রের রমরমা ব্যবসা চলছে সামাজিক মাধ্যমে। এতে জড়িত সব অ্যাকাউন্টই ইয়েমেন থেকে পরিচালিত হয়। অভিযোগ উঠেছে, হুতি সংশ্লিষ্ট অস্ত্র ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছে এসব অস্ত্র।
ওয়াশিংটন ভিত্তিক প্রযুক্তি বিষয়ক গবেষণা সংস্থা টেক ট্রান্সপারেন্সি প্রজেক্ট- টিটিপির এক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এই তথ্য। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, এক্স ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো সোশ্যাল হ্যান্ডেলে রীতিমতো বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি করা হয় অস্ত্রগুলো।
ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরিসহ বিভিন্ন সময় নানা বিতর্কে জড়িয়েছে বহুল প্রচলিত সামাজিক মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ ও এক্স। এবার নতুন বিতর্কে জড়ালো এগুলোর নাম।
অনুসন্ধানে টিটিপি অস্ত্র বিক্রির সাথে যুক্ত ১৩০টি এক্স একাউন্ট চিহ্নিত করেছে। যেগুলো অত্যাধুনিক রাইফেল, গ্রেনেড লঞ্চার, পোলিশ মডেলের একে ৪৭’র মতো অস্ত্রের বিজ্ঞাপন দিয়েছে। রয়েছে অনেক মার্কিন অস্ত্রও। এরমধ্যে ১০৯টি অ্যাকাউন্টের লোকেশন হিসেবে উল্লেখ করা হয় ইয়েমেন। বিভিন্ন পোস্ট, লোকেশন ট্যাগ ও যোগাযোগের জন্য দেয়া হোয়াটসঅ্যাপের নম্বরের কান্ট্রি কোড বিশ্লেষণে দেখা গেছে বাকি ২১টি অ্যাকাউন্টও ইয়েমেন ভিত্তিক। এরমধ্যে আবার অর্ধেকের বেশির অবস্থান হুতি নিয়ন্ত্রিত সানায়।
অস্ত্র কিনতে আগ্রহীদের যোগাযোগের জন্য বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরও জুড়ে দেয়া হয় এসব অ্যাকাউন্টের পোস্টে। টিটিপির বিশ্লেষণ বলছে, ১৩০টি অ্যাকাউন্টের মধ্যে ৬১ শতাংশ খোলা হয়েছে ইলন মাস্ক এক্সের দায়িত্ব নেয়ার পর। এরমধ্যে অন্তত ৩৫টি অ্যাকাউন্ট থেকে বিক্রি করা হয় যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিভিন্ন দেশের অস্ত্র।
ধারণা করা হচ্ছে, ২০২১ সালে মার্কিন সেনারা আফগানিস্তান ছাড়ার পর, তাদের ফেলে যাওয়া বিপুল অস্ত্র কালোবাজারের মাধ্যমে পৌঁছেছে ইয়েমেনে। বলা হচ্ছে, হুতির কার্যক্রমকে গতিশীল করতে অর্থ সংগ্রহের জন্যই সেসব বিক্রি করছে গোষ্ঠীটির সাথে সংস্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
উল্লেখ্য, এসব অ্যাকাউন্টের বেশিরভাগই আবার বিজনেস অ্যাকাউন্ট। বিভিন্ন প্রিমিয়াম ফিচারও ব্যবহার করছে তারা। এছাড়া, বিজ্ঞাপনের জন্য ডলার খরচ করে প্রমোশনও করে থাকে। যেকোনো ধরণের অস্ত্র কেনাবেচা হোয়াটসঅ্যাপ ও এক্সের নীতিমালা পরিপন্থী। আর তাই, ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে এক্স ও মেটা।
সোর্স: যুমনা
মন্তব্য করুন: