 
                                                                        
                                    ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ৬৮ হাজার ৫২৭ জন নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজার ৩৯৫ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ২০ হাজারের বেশি শিশু। আলজাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলের এই হত্যাযজ্ঞ পুরো বিশ্বের সামনে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়েছে, যা বৈশ্বিক বয়কট আন্দোলনকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে গেছে।
দুই দশক আগে শুরু হওয়া ইসরায়েলি পণ্যের নীরব বয়কট এখন অ্যাপভিত্তিক প্রচারণায় রূপ নিয়েছে। ফিলিস্তিনি-অস্ট্রেলীয় চিকিৎসক ড. মোহাম্মদ মুস্তাফা বলেছেন, গণহত্যার এই দৃশ্য অনেক মানুষের মনোভাব বদলে দিয়েছে। তিনি মনে করেন, ফিলিস্তিনিদের দীর্ঘদিনের ন্যায়ের আহ্বানে এখন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সাড়া দিচ্ছে।
যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে ইসরায়েল মঙ্গলবার রাতে গাজা সিটিতে ব্যাপক বিমান হামলা চালায়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি কার্যত ভঙ্গ করেছে ইসরায়েল। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ‘শক্তিশালী হামলার’ নির্দেশ দেওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই গাজায় আঘাত হানে যুদ্ধবিমান।
অভিযোগ রয়েছে, জিম্মিদের মরদেহ হস্তান্তরে বিলম্বের অজুহাতে এই হামলা চালানো হয়। হামাস জানিয়েছে, দীর্ঘদিনের বোমা হামলায় মরদেহগুলো ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে আছে। একইসঙ্গে পশ্চিম তীরেও ইসরায়েলি দমনপীড়ন বেড়েছে, সেখানে আরও কয়েকজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এদিকে, নিউইয়র্ক টাইমসের পক্ষপাতদুষ্ট সংবাদ প্রকাশে ক্ষোভ জানিয়ে ১৫০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ঘোষণা দিয়েছেন, তারা পত্রিকাটিতে আর লিখবেন না।
মন্তব্য করুন: