 
                                                                        
                                    ইউরোপজুড়ে সময় বদলের ঐতিহ্যবাহী দিন হিসেবে পরিচিত অক্টোবরের শেষ রবিবার। এ বছর ২৬ অক্টোবর ২০২৫-এ ইউরোপের সব দেশে ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা পেছানো হবে। এর মধ্য দিয়ে শেষ হবে ‘ডে-লাইট সেভিং টাইম’ বা গ্রীষ্মকালীন সময়, আর শুরু হবে শীতকালীন বা স্ট্যান্ডার্ড টাইম।
এই নিয়মের মূল উদ্দেশ্য ছিল দিনের আলো সর্বোচ্চভাবে কাজে লাগানো। গ্রীষ্মে ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা এগিয়ে দিলে সন্ধ্যায় আলো থাকে বেশি সময়, যা একসময় বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সহায়ক হিসেবে বিবেচিত হতো। তবে অক্টোবর এলে দিন ছোট হতে শুরু করে, তাই ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা পেছানো হয়।
কিন্তু আধুনিক যুগে এই ব্যবস্থার যৌক্তিকতা নিয়ে ইউরোপেই প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের পুরোনো যুক্তি এখন তেমন কার্যকর নয়। বরং বছরে দুইবার সময় বদলের ফলে মানুষের ঘুমের ছন্দ, কাজের সময়সূচি ও শরীরের প্রাকৃতিক জৈবিক ঘড়ি বিঘ্নিত হয়। এ কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইতোমধ্যে সময় পরিবর্তনের এই ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে।
সময় পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গেও সময়ের পার্থক্য বদলাবে। যেমন, লন্ডনে ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা পেছালে বাংলাদেশের সঙ্গে সময়ের ব্যবধান হবে ৬ ঘণ্টা, যা আগে ছিল ৫ ঘণ্টা।
ঘড়ির কাঁটা পেছানোর এই ঘটনা কেবল সময়ের নয়, বরং ঋতুর পরিবর্তনের প্রতীকও। দিন ছোট হয়, সন্ধ্যা নামে তাড়াতাড়ি, আর প্রকৃতিতে ছড়িয়ে পড়ে শীতের আগমনী বার্তা।
মন্তব্য করুন: