প্রকাশিত:
                                        ২৫ অক্টোবর ২০২৫ ২০:১০ পিএম
                                        
                                                                            
 
                                                                        
                                    সৌর প্যানেল ও বৈদ্যুতিক গাড়ির পর এবার পারমাণবিক শক্তিতেও বৈশ্বিক নেতৃত্বের পথে চীন। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৩০ সালের মধ্যেই পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে দেশটি যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে বিশ্বের শীর্ষ স্থানে পৌঁছাবে। বর্তমানে চীনে নির্মাণাধীন পারমাণবিক চুল্লির সংখ্যা বিশ্বের বাকি সব দেশের মোট সংখ্যার প্রায় সমান।
চীনের বেশিরভাগ পারমাণবিক প্রকল্প মার্কিন ও ফরাসি নকশার ওপর ভিত্তি করে হলেও দেশটি নির্মাণ বিলম্ব বা অতিরিক্ত ব্যয়ে ভুগছে না। সরকারি নিয়ন্ত্রণ, সহজ অনুমোদন প্রক্রিয়া এবং রাষ্ট্রীয় অর্থায়নের কারণে চীনের প্রকল্পগুলো দ্রুত শেষ হচ্ছে। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে একটি রিঅ্যাক্টর নির্মাণে গড়ে ১১ বছর সময় লাগে, সেখানে চীন একই কাজ শেষ করছে ৫-৬ বছরে।
চীনের সাফল্যের পেছনে রয়েছে একীভূত সরকারি কৌশল রাষ্ট্রায়ত্ত তিনটি পারমাণবিক কোম্পানি কম সুদে ঋণ পায়, আর সরকার বিদ্যুৎ গ্রিডকে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কিনতে বাধ্য করে। এতে বিনিয়োগ নিরাপদ থাকে এবং প্রকল্পের ধারাবাহিকতা বজায় থাকে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক খাত দীর্ঘদিন ধরেই জটিল অনুমোদন, উচ্চ ব্যয় ও অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতায় পিছিয়ে আছে। দেশটি এখন নতুন প্রজন্মের ছোট আকারের রিঅ্যাক্টর বা এসএমআর প্রযুক্তির ওপর জোর দিচ্ছে, যা ভবিষ্যতে গুগল, অ্যামাজন ও ওপেনএআইয়ের মতো প্রযুক্তি কোম্পানির ডাটা সেন্টারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারে।
বিশ্ববাজারেও চীন দ্রুত আধিপত্য বিস্তার করছে। পাকিস্তানে ছয়টি রিঅ্যাক্টর নির্মাণের পর দেশটি আরও কয়েকটি দেশে রপ্তানি চুক্তি করেছে। পাশাপাশি তারা “চতুর্থ প্রজন্মের” গ্যাস কুলড ও থোরিয়াম রিঅ্যাক্টর প্রযুক্তি উন্নয়নে কাজ করছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী দশকে পারমাণবিক শক্তিই হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র-চীন প্রতিযোগিতার নতুন ভূ-রাজনৈতিক যুদ্ধক্ষেত্র।
মন্তব্য করুন: