[email protected] সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
৩০ আষাঢ় ১৪৩২

স্বর্ণ বিনিয়োগে এগিয়ে দক্ষিণ এশীয় নারীরা!

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪ জুলাই ২০২৫ ১৭:০৭ পিএম

ফাইল ছবি

দক্ষিণ এশীয় নারীদের জন্য স্বর্ণালঙ্কার শুধু সাজসজ্জার সামগ্রী নয়, বরং একটি আর্থিক নিরাপত্তার প্রতীক। মেয়েদের জন্ম থেকেই স্বর্ণ সংগ্রহ শুরু হয় - উৎসব, বিবাহ, ধর্মীয় অনুষ্ঠান কিংবা পারিবারিক ঐতিহ্য হিসেবে সেগুলো প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চলে আসে।

শহর কিংবা গ্রাম — অর্থনৈতিক অবস্থান যাই হোক না কেন, স্বর্ণ মেয়েদের হাতে একটি নিজস্ব সম্পদের সুযোগ করে দেয়। অনেক নারী শাড়ির সোনার জরির ভেতরও এই ঐতিহ্য বয়ে নিয়ে বেড়ান। এই অলংকারগুলো হঠাৎ বিক্রি করে নগদ অর্থ পাওয়ার উপায় হিসেবে বিবেচিত হয় না। বরং তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি অমূল্য উত্তরাধিকার।

২০২৫ সালে সোনার দাম ২৬ শতাংশ বেড়েছে, ২০২৪ সালে তা ছিল ২৭ শতাংশ। এপ্রিল মাসে প্রতি আউন্স সোনার দাম ৩,৫০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। মূলত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অস্থির শুল্কনীতি ও ফেডারেল রিজার্ভ নেতার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির কারণে বাজারে অনিশ্চয়তা ছড়িয়ে পড়ে।

তবে দাম বাড়লেও দক্ষিণ এশীয় নারীরা স্বর্ণ বিক্রি করছেন না। বরং অনেকেই পুরনো অলংকার গলিয়ে আধুনিক ডিজাইনে রূপান্তর করছেন।

ভারতে এখনো ৫০ শতাংশের কম নারী নিজস্বভাবে অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকায় কিংবা বিনিয়োগের অন্য উপায় না জানায় অনেক নারীর জন্য গয়নার সোনাই একমাত্র সঞ্চয়।

২০২৩ সালে ভারত ছিল বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সোনার গয়নার বাজার, প্রথম ছিল চীন। সে বছর ভারত ৬১১ টন গয়না কিনেছে, যেখানে মধ্যপ্রাচ্য কিনেছে মাত্র ২৪১ টন।

ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকির আশঙ্কায় মুদ্রা থেকে স্বর্ণে ঝুঁকছেন। ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে সোনা তার ১৯৮৬ সালের পর সর্বোচ্চ রিটার্ন দিয়েছে। এমনকি রিজার্ভ বাড়াতে ভারত ও চীন কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো ব্যাপক হারে সোনা কিনছে। ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক গত পাঁচ বছরে তার সোনার মজুত ৩৫ শতাংশ বাড়িয়েছে।

সোর্স: বণিক বার্তা

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর