কাগজে মঙ্গলপুর গ্রামটির অস্তিত্ব থাকলেও বাস্তবে এতদিন এখানে কোনো বসতি ছিল না। প্রায় ৮০ বছর পর মঙ্গলপুর গ্রামটির অবস্থান ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নে।
কোটচাঁদপুর শহর থেকে চৌগাছা সড়ক ধরে তিন কিলোমিটার পথ গেলেই রাস্তার বাম পাশে দেখা মিলবে গ্রামটির। ভয়ে গ্রামে বসবাস করে না কোন মানুষ।
মঙ্গলপুর গ্রামটি উপজেলার ৬৬ নম্বর মঙ্গলপুর মৌজায় অবস্থিত। এই মৌজায় একটিই গ্রাম রয়েছে যার নাম মঙ্গলপুর। গ্রামে ২০৬টি খতিয়ানভুক্ত জমি আছে কিন্তু সেখানে কোনো পরিবারের বসবাস ছিল না।
মঙ্গলপুর গ্রামের আশে পাশে গ্রামের মানুষের জন্য বাংলাদেশ স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর একটি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হয়ে। ইতোমধ্যে তাদের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম শুরু করেছে। তবে কথিত এই গ্রামের অমঙ্গল নিয়ে ভিত সবাই।
মঙ্গলপুর গ্রামে থাকা পুকুর রাস্তাসহ কয়েকটি বাড়ির সামান্য ধ্বংসাবশেষ দেখে অনুমান করা যায় এখানে এক সময় জনবসতি ছিল। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলপুর গ্রামের অধিকাংশ মানুষ হিন্দু সম্প্রদায়ের ছিল। প্রায় ৮০ থেকে ৮৫ বছর আগে মঙ্গলপুর নামের এই গ্রামের মানুষের মধ্যে অমঙ্গল আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কলেরা বা গুটি বসন্তের মত মহামারি রোগ ছড়িয়ে পড়ে। এ রোগে অনেকে মারা যায়। এসময় প্রাণে বাঁচতে সবাই গ্রাম ছেড়ে চলে যায়। আর কিছু পরিবার ভয়ে গ্রাম ছেড়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে চলে যান। তখন থেকে গ্রামটি মানুষ শূন্য হয়ে পড়ে। জানা যায়, সর্বশেষ নেটে ঠাকুর নামের একজন মঙ্গলপুরে থাকতেন, তিনি পরবর্তীতে খুন হলে গ্রামটি সম্পূর্ণ ভাবে মানুষশূন্য হয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে এলাঙ্গী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, বহুবছর আগে অজানা আতঙ্কে মানুষ গ্রাম ছেড়ে চলে যায়। জনমানব শূন্য ওই গ্রামে ২৩ আগস্ট থেকে আট পরিবারের বসবাস শুরু হলো। আস্তে আস্তে গ্রামে আরও বসতি গড়ে উঠবে প্রত্যাশা করেন এই ইউপি চেয়ারম্যান।
সোর্স: Rtv news
মন্তব্য করুন: