[email protected] সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
২৮ আশ্বিন ১৪৩২

প্রথমবারের মতো সারাদেশে টাইফয়েডের টিকাদান কর্মসূচি শুরু

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০২৫ ১৩:১০ পিএম

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সারাদেশে টাইফয়েড প্রতিরোধে জাতীয় টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। নয় মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী প্রায় ৫ কোটি শিশুকে এই টিকার আওতায় আনা হবে।

রোববার সকালে ঢাকার আজিমপুরে স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানা কেন্দ্রে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। আগামী এক মাস ধরে সারাদেশে বিনামূল্যে ইনজেক্টেবল টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নূরজাহান বেগম বলেন, ‘আমাদের দেশে এখনও শিশুরা টাইফয়েডে মারা যায়, এটা লজ্জার। যেমন আমরা ডায়রিয়া ও রাতকানা প্রতিরোধে সফল হয়েছি, ইনশাআল্লাহ এবার টাইফয়েডও প্রতিরোধ করতে পারব।’

তিনি আরও বলেন, ‘রোগ প্রতিরোধ এখন আমাদের সরকারের সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার। যত বেশি মানুষ, বিশেষ করে শিশুদের টিকার আওতায় আনা যাবে, তত কমবে হাসপাতালের ভিড় ও চাপ। টাইফয়েড এমন একটি রোগ, যা সচেতনতা ও টিকাদানের মাধ্যমে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আমরা যদি এই কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিটি শিশুর কাছে টিকা পৌঁছে দিতে পারি, তাহলে টাইফয়েডে মৃত্যুর ঘটনা কার্যত বন্ধ করা যাবে। এতে আমাদের জনস্বাস্থ্য আরও শক্তিশালী হবে।’

অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ ও নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘এটা শুধু একটি স্বাস্থ্য প্রকল্প নয়, বরং বাংলাদেশের শিশুস্বাস্থ্য সুরক্ষার ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। টাইফয়েড অনেক দিন ধরে এক নীরব বিপদ হয়ে ছিল, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের পরিবারের শিশুদের জন্য। এই কর্মসূচি সেই দুর্বল জায়গায় বড় পরিবর্তন আনবে। আমি আশা করি, প্রতিটি অভিভাবক সচেতনভাবে অংশ নেবেন এবং তাদের সন্তানদের টিকা নিশ্চিত করবেন।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) তথ্য অনুযায়ী, এই টিকা সব শিশুই পাবে, এমনকি যাদের জন্মনিবন্ধন নেই তারাও।

বাংলাদেশের এই প্রথম জাতীয় টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচিতে ব্যবহৃত হচ্ছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি টিকা। এই টিকা সরবরাহে সহায়তা করছে আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্যাভি (গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন)।

 

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর