[email protected] সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
২৬ কার্তিক ১৪৩২

এক জাহাজ দেখেই দিল্লির বেহাল দশা!

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০২৫ ২১:১১ পিএম

ছবি : সংগৃহীত

দক্ষিণ এশিয়ার সাম্প্রতিক ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের নতুন উষ্ণতা যেন রীতিমত ঘুম কেঁড়ে নিয়েছে দিল্লির। ভারতের কূটনৈতিক মহলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এখন বাংলাদেশ।

পাঁচ দশক পর ঢাকা–ইসলামাবাদের দূরত্ব দ্রুত কমছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে ড. মোহাম্মদ ইউনুস দায়িত্ব নেওয়ার পর পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ স্পষ্টভাবে বেড়েছে।

নভেম্বরের শুরুতে পাকিস্তান নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ (পিএনএস সাইফ) চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায় চার দিনের শুভেচ্ছা সফরে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর আনুষ্ঠানিক স্বাগত এবং যৌথ আলোচনায় দুই দেশের সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ইঙ্গিত মিলেছে। ১৯৭১ সালের পর দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন ছিল স্পষ্ট, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে। শেখ হাসিনার আমলে ইসলামাবাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক কার্যত সীমিত হয়ে পড়েছিল।

কিন্তু ২০২৪ সালের জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও ভারতে পলায়নের পর দৃশ্যপট বদলে যায়। ড. ইউনুসের নেতৃত্বে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর পাকিস্তান পরিবর্তনকে স্বাগত জানায়, এবং উভয় দেশের উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের সফর বাড়ে।

নতুন সরকারের বক্তব্য, বাংলাদেশ এখন সব দেশের সঙ্গে সমান ও ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়তে চায়। তবে ভারতের বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠতা আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক ভারসাম্যে নতুন চ্যালেঞ্জ আনতে পারে।

বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তানের নৌযান আগমন শুধুই সৌজন্য সফর নয়—এটি ভবিষ্যৎ সহযোগিতার ইঙ্গিতও দিতে পারে। বাংলাদেশ যদি পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়, তবে দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তির ভারসাম্যে নতুন অক্ষ তৈরি হতে পারে, যা ভারতের জন্য বড় কৌশলগত চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে পারে।

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর