ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও ‘দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান’ বাস্তবায়নে ফ্রান্স–সৌদি আরবের উদ্যোগে জাতিসংঘে আয়োজিত সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে অসন্তোষ জানায়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তারা এ সম্মেলনকে "প্রতীকী" এবং "হামাসকে উৎসাহিতকারী" বলে অভিহিত করেন।
ইসরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবি ফ্রান্সকে আক্রমণ করে বলেন, “ফিলিস্তিন রাষ্ট্র চাইলে ফ্রান্সকে ফ্রেঞ্চ রিভিয়েরা ছেড়ে দিতে হবে।”
তবে একই সম্মেলনে সৌদি আরব সহ-আয়োজক হলেও তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র কোনো কটাক্ষ করেনি। বিশ্লেষকদের মতে, সৌদি আরবের বিপুল বিনিয়োগ ও প্রতিরক্ষা চুক্তির কারণে যুক্তরাষ্ট্র ‘নীরব কূটনীতি’ অবলম্বন করছে।
ট্রাম্প প্রশাসন মধ্যপ্রাচ্যে হুতি বিদ্রোহীদের ওপর বিমান হামলা বন্ধ ও সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়াসহ নানা সিদ্ধান্তে সৌদি প্রভাবকেই গুরুত্ব দিয়েছে। অন্যদিকে, গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার সমালোচনায় সৌদি যুবরাজ মুখ খুললেও, ট্রাম্প প্রশাসন তাতে নিরব।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অর্থনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক স্বার্থেই ফ্রান্সের সমালোচনা সহজ, সৌদি আরবের নয়। এ দ্বৈত নীতিই যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত পছন্দ ও বাস্তববাদী অবস্থানকে তুলে ধরছে।
মন্তব্য করুন: