[email protected] রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
১২ শ্রাবণ ১৪৩২

বাংলাদেশের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ!

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৬ জুলাই ২০২৫ ১৮:০৭ পিএম
আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৫ ৬:১২ পিএম

ফাইল ছবি

বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফেডারেল সংস্থা ‘ইউনাইটেড স্টেটস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম’ (ইউএসসিআইআরএফ)।

সম্প্রতি তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিশদ রিপোর্টে এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও সংবিধান সংস্কার নিয়ে নানা দিক আলোচিত হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘২০২৪ সালের ৫ থেকে ৮ অগস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগ ও সরকার পতনের সময় দেশে কোনও প্রশাসন না থাকায় ভয়াবহ সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগের সমর্থক বা সদস্য ভেবে প্রতিশোধমূলকভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর একাধিক হামলা চালানো হয়। ৫ থেকে ২০ অগস্টের মধ্যে মোট ১,৭৬৯টি হামলার ঘটনা ঘটেছে।'

বাংলাদেশে কীভাবে মুসলিম মৌলবাদী তথা উগ্রবাদীদের উত্থান ঘটেছে তার উদাহরণ টানতে গিয়ে সংস্থাটি বলেছে, ‘ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফেব্রুয়ারিতে মহিলাদের ফুটবল ম্যাচ বাতিল করতে বাধ্য করে। সম্প্রতি নাদিরা ইয়াসমিন নামে এক মহিলা অধ্যাপককে হুমকির মুখে কলেজ বদল করতে হয়।'

সংস্থাটি আরও বলেছে, 'বাংলাদেশে এখনও ব্লাসফেমি সংক্রান্ত ধারা (দণ্ডবিধি ১৯৫এ) চালু রয়েছে, যেখানে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করাকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। ২০২৩ সালের সাইবার সিকিউরিটি আইন অনুযায়ী, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন ডিজিটাল কনটেন্ট প্রকাশ করলে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। যা উদ্বেগজনক।' বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং ধর্মীয় সহনশীলতার ভবিষ্যৎ নিয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।  

সোর্স: এই মুহূর্তে.কম

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর