[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ১ মে ২০২৫
১৮ বৈশাখ ১৪৩২

মার্কিন পণ্যেও শুল্ক বসাচ্ছে চীন


প্রকাশিত: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:০২ পিএম

সংগৃহীত

চীনা অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মার্কিন পণ্যের ওপর আরোপিত শুল্কহার ১০-১৫ শতাংশের মধ্যে থাকবে। এটি আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। দেশটি আরো জানিয়েছে, তারা মার্কিন গাড়ি আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ করবে। এছাড়া দেশটিতে দুষ্প্রাপ্য ধাতু রফতানি নিয়ন্ত্রণ করবে।

দায়িত্ব গ্রহণের পর পরই চীনা পণ্য আমদানির ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্য আমদানিতেও শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে চীন। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি জানিয়েছে, তারা মার্কিন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি), কয়লা, অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ও কৃষি সরঞ্জামের ওপর শুল্ক আরোপ করবে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক টেক জায়ান্ট গুগলের বিরুদ্ধে অ্যান্টিট্রাস্ট তদন্ত শুরুর ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। খবর এফটি।

চীনা অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মার্কিন পণ্যের ওপর আরোপিত শুল্কহার ১০-১৫ শতাংশের মধ্যে থাকবে। এটি আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। দেশটি আরো জানিয়েছে, তারা মার্কিন গাড়ি আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ করবে। এছাড়া দেশটিতে দুষ্প্রাপ্য ধাতু রফতানি নিয়ন্ত্রণ করবে।

এদিকে গত মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে নতুন মার্কিন শুল্ক কার্যকর হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যে বাণিজ্য যুদ্ধের সূচনা হয়েছিল, নতুন করে শুল্ক আরোপের মাধ্যমে সেটির দ্বিতীয় ধাপের সূচনা হলো।

গত সপ্তাহান্তে কানাডা, মেক্সিকো ও চীনের ওপর ব্যাপক শুল্ক বসানোর ঘোষণা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি অভিযোগ করেন, ‘এসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের ঢল ঠেকাতে এবং মাদকজাতীয় দ্রব্য ফেন্টানিল ও এর কাঁচামালের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে।’ তবে গত সোমবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবামের সঙ্গে আলোচনার পর ট্রাম্প কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন।

বিশ্লেষকদের মতে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলতে পারেন ট্রাম্প। এতে শুল্ক আরোপ নিয়ে একটি সমঝোতার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর