৫ আগস্টের পরবর্তী রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে। পতিত স্বৈরাচারী সরকারের বহু নেতা ইতিমধ্যে দেশত্যাগ করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা।
এই প্রেক্ষাপটে প্রতিবেশী দেশ ভারত কি তাদের দীর্ঘদিনের মিত্র আওয়ামী লীগকে সঙ্গে নিয়েই নির্বাচন প্রসঙ্গে কোনো পরামর্শ দেবে, এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে নয়াদিল্লিতেও। বিষয়টি এতটাই গুরুত্ব পেয়েছে যে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক সংবাদ সম্মেলনেও তা উঠে আসে।
৩০ অক্টোবরের সংবাদ সম্মেলনে এক ভারতীয় সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, “বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনে ভারত কি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটের আহ্বান জানাবে? আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাবও কি দেবে?”
জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আওয়ামী লীগ বা কোনো নির্দিষ্ট দলের বিষয়ে সরাসরি কিছু না বললেও মন্তব্য করেন, “আমাদের প্রত্যাশা, বাংলাদেশের নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভারতের এই কূটনৈতিক ভাষ্য ইঙ্গিত দেয় যে, তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে, তবে সরাসরি রাজনৈতিক অবস্থান নিতে এখনো সতর্ক।
মন্তব্য করুন: